শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৭ অপরাহ্ন
র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বলে র্যাব জানান।
খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা থানাধীন ফুলবাড়ী গ্রামে নাবালিকা ভিকটিম ও তার খালাতো বোনকে নিজ বসতঘরে রেখে ভিকটিমের মা ও বাবা অন্যত্র বেড়াতে যায়। এ সুযোগে ১৫ মে ২০২২ তারিখ রাত অনুমান সময় ২ জন আসামী ভিকটিমের বসতঘরে কৌশলে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আসামী মুজাহিদ শেখ ও মোঃ আজিজুল মোড়ল মিশরিয়া ভিকটিমকে পালাক্রমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে আসামীদ্বয় ভিকটিমের খালাতো বোনকেও ধর্ষণের চেষ্টা করে। ভিকটিমদ্বয়ের ডাকচিৎকারে আসামীদ্বয় পালাইয়া যায়। পরবর্তীতে অসুস্থ অবস্থায় ভিকটিমকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনাটি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয় এবং জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উক্ত ঘটনার পর থেকে আসামীদ্বয়কে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬ (স্পেশাল কোম্পানি) এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, উক্ত গণধর্ষণ মামলার আসামীরা খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা থানা এলাকায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ১৬ মে ২০২২ তারিখ ভোর ৫ সময় খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা থানাধীন একাধিক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে গণধর্ষণ মামলার আসামী ১। মুজাহিদ শেখ (২৪), পিতা-মৃত মোহাম্মাদ শেখ, ২। মোঃ আজিজুল মোড়ল মিশরিয়া (২৫), পিতা-মোঃ আজনবী মোড়ল উভয় সাং-ফুলবাড়ী, থানা-বটিয়াঘাটা, জেলা-খুলনাদ্বয়কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনার সাথে তারা জড়িত আছে মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা থানায় হস্তান্তর করতঃ আসামীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা রুজুর কাজ প্রক্রিয়াধীন।