শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন
নরসিংদীর পলাশে বোনকে মারধর করার প্রতিবাদ করায় ভাগিনার ছুরিকাঘাতে মামা আতাউর রহমান (৩৮) মারা যায়। ভাগিনার ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত হওয়ার সাতদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোববার রাতে আতাউর রহমান নিহত হয়েছে। সোমবার (২৫শে এপ্রিল) নিহত আতাউর রহমান লাশ নিজ গ্রামে দাফন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ এপ্রিল বিকালে নরসিংদী জেলা পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের কবির শেখের ছেলে নিয়ন শেখ (২৪) নামের এক যুবক পারিবারিক কলহের জেরে তার মা সেফালি বেগমকে মারধর করে। খবর পেয়ে একই গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ও সেফালি বেগমের আপন ছোট ভাই আতাউর রহমান তার বোন সেফালি বেগমকে মারধর করার প্রতিবাদ করে। এসময় নিয়ন শেখ আরও ক্ষিপ্ত হয়ে তার মামা আতাউর রহমানকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে সাথে সাথে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা ছুরিকাঘাতে জখম আতাউর রহমানকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে কয়েকদিন চিকিৎসার পর ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে আতাউর রহমানকে চিকিৎসা করানো হয়। ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাতে আতাউর রহমান মারা যায়।
এ ব্যাপারে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, ভাগিনার ছুরির আঘাতে মামা আতাউর রহমান জখম হওয়ার ঘটনাটি আগে কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। রোববার রাত ১২টার দিকে নিহত আতাউর রহমানের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। সোমবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদীর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
তবে এ ঘটনায় নিহতের পরিবার থেকে এখনো কেউ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। পাশাপাশি ঘাতক নিয়ন শেখও পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।