রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:০৬ অপরাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
আজ (৩০ নভেম্বর ২০২৫) বিকেলে (প্রায় ৪টার দিকে) হোসেনপুর গ্রামের পূর্ব পাশে, জোয়ারারবিল এলাকায় কচুরিপানার মধ্যে এক ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। মৃত ব্যক্তি হলেন মো. মুছা মিয়া (৫৯), যিনি ছলিমাবাদ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে বলেছে, গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে হত্যা করা হয়েছে।
খবর পাওয়া মাত্রই (প্রত্যক্ষদর্শী বা স্থানীয়দের সূত্র অনুযায়ী) মৃতদেহের পাশে কোনো দেহরক্ষী বা সাক্ষীর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
লাশের সুরতহাল (বিস্তারিত ফরেনসিক ও ময়নাতদন্ত-কাজ) শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
নিহতের ছেলে মোহাম্মদ উজ্জল মিয়া জানিয়েছেন, তিনি একটি ফোন পেয়েছিল — একজন (ড্রেজার ব্যবসায়ী) মোস্তফা মিয়া — থেকে, যে ফোনে তাকে জানানো হয় যে তার বাবাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দেখেন। উজ্জল মিয়া দাবি করেছেন, “সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার চাই।”
ঘটনার পর, পুরো এলাকা উত্তেজনায় — মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় উদ্বিগ্ন। সাবেক জনপ্রতিনিধি হলেও, এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড গ্রামে-ই ভয় বাড়িয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন করছেন — “কারা এবং কেন এমন নৃশংস কাজ করল?” — রাজনৈতিক নয় কি পারিবারিক শত্রুতা, বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা জরুরি।
পরিবারের এবং স্থানীয়দের দাবি, বিচার দ্রুত হওয়া উচিত; শুধুমাত্র লাশ উদ্ধার বা সংবাদ প্রকাশ নয়, দোষীদের।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা (ইনচার্জ ওসি) জানিয়েছেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। পাশাপাশি, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছে — গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ, সময় ও দায়ীদের সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না।
পুলিশ উল্লেখ করেছে — এখনো কোনো প্রত্যক্ষদর্শী বা সঠিক সাক্ষী পাওয়া যায়নি। ফলে, তদন্তকে গুরুত্ব দিয়ে এগোনো হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও প্রাপ্ত ফলে পরবর্তী কারচুপি, মামলা বা আইনগত পদক্ষেপ নির্ধারণ করা হবে।
পুলিশের এই দ্রুত প্রতিক্রিয়া ও পরিচ্ছন্ন প্রাথমিক তদন্ত — যদিও শুরু — কিন্তু অপরাধীদের গ্রেপ্তারের জন্য নির্দিষ্ট একটা সময়সীমা বা পরিকল্পনা মিডিয়ায় এখনও ঘোষণা হয়নি।
শুধু ব্যক্তিগত নয়, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব ফেলতে পারে। এলাকার সাধারণ মানুষ এখন নিরাপত্তাহীনতায় — কারণ, “যে কোনো সময়, যেকোনো ব্যক্তি …” — এমন শঙ্কা বাড়ছে।
স্থানীয় জনগণ মনে করছে — এটি হতে পারে পারিবারিক শত্রুতা, ব্যক্তিগত বিভেদ, রাজনৈতিক অশান্তি অথবা সম্পত্তি সহ বিরোধ — কারণ, সাবেক জনপ্রতিনিধি হওয়ায় তার পরিচিতি, ক্ষমতা, সম্পত্তি ইত্যাদির সম্ভাবনা বেশি। সঠিক কারণ জানতে হলে পুলিশি তদন্ত ছাড়াও — সমাজীয় তথ্য, গোপন ও প্রোত্যক্ষ সাক্ষীদের মন্তব্য, এবং পুরনো বিবাদের খুঁজতেও হবে।
আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অবস্থা, পুলিশ-জনগণ সম্পর্ক, নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা — এসব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ভয়ের কারণে কেউ কথা বলতে পারছে না — তা হলে জটিল হত্যা-মামলায় সত্য উদঘাটন কঠিন হবে।
প্রাথমিক মামলার রেকর্ড, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট, সম্ভাব্য সংলাপ, সন্দেহভাজনদের তালিকা, এবং সাক্ষীরা যাতে সুরক্ষিত থাকতে পারেন — সে বিষয়ে প্রশাসনকে তৎপর হতে হবে।
স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, সাংবাদিক ও সমাজের প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি সম্ভাব্য ফোরাম গঠন করা যেতে পারে। যাতে, তথ্য ঘুরে-ফিরে না যায়, এবং ভীতি-আশঙ্কা কমে।
এলাকাবাসীর জন্য নিরাপত্তা, প্রাক–চিকিৎসা বা মানসিক সহায়তার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। মানুষ যাতে ভয়-অজরেই তাদের বাড়ি-বাড়ি যেতে পারে।
এমন হত্যাকাণ্ড দাঁড়িয়ে যাবে না — এই দৃঢ় বার্তা দিতে হবে। পাশাপাশি, স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দকে শান্তি, সংলাপ এবং মিলেমিশে চলার গুরুত্ব জানানোর কাজ করতে হবে।