বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৫ অপরাহ্ন
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড থানার হত্যা মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত পলাতক আসামি ওসমান (৩৮)’কে দীর্ঘ দিন পর গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
নিহত ভিকটিম ইব্রাহিম স্থানীয় মকবুল রহমান জুট মিলে চাকুরি করতেন। ঘটনার দিন নিহত ভিকটিম ইব্রাহিম জুট মিলের ডিউটি শেষ করে বাসায় ফিরছিলেন। ভিকটিম বাসায় ফেরার পথে ধৃত আসামি ওসমানসহ অন্যান্য আসামিরা আগে থেকেই ঘটনাস্থলে ডাকাতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ভিকটিম উক্ত এলাকায় চাকুরী করার সুবাদে আসামিরা আগে থেকেই ভিকটিমের পরিচিত ছিল। ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ভিকটিম ডাকাত দলের সদস্যদের চিনে ফেলায় আসামি ওসমান এবং অন্যান্য আসামিরা ভিকটিমকে ছুরিকাঘাতে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করে।
উক্ত হত্যাকান্ডের ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজু হওয়ার পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ওসমানের বিরুদ্ধে পুলিশ বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। দাখিলকৃত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত বিচার কার্যক্রম চলাকালে আসামি ওসমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বর্ণিত মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা ভূক্ত পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরদারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উক্ত মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা ভূক্ত পলাতক আসামি ওসমান চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড থানাধীন সোনারগাঁও ফিলিং স্টেশন এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত ০৮ অক্টোবর ২০২৩ইং তারিখ আনুমানিক ১০০৫ ঘটিকায় বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি ওসমানকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
রবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে উক্ত ডাকাতি সংঘটনের সময় তাদের চিনে ফেলায় ডাকাত দলের সদস্যরা ভিকটিম ইব্রাহিম’কে ছুরিকাঘাতে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করে। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, মামলা রুজু হওয়ার পর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রাম মহানগরীসহ বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপন করে অবস্থান করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।