বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ বিল্লাল হোসেন।  আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট রাসেল । ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: কাজী মোস্তফা রুমি । যোগাযোগ : ০৩১-৭২৮০৮৫, ০১৮১১৫৮৮০৮০ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com জহুর উল্লাহ বিল্ডিং (৩য় তলা), পানওয়ালা পাড়া, চৌমুহনী, উত্তর আগ্রাবাদ ১২৭৭, চট্টগ্রাম।

আগুন লাগার খবর পেয়েও জরুরি সেবার সহায়তা চাননি লঞ্চমালিক

এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী নিতে নভেম্বর মাসে অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন ইঞ্জিন সংযোজন করা হয়। যাতে দ্রুত সময়ে লঞ্চটি গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে।

গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে আগুনে পুড়ে যায় লঞ্চটি। আগুন লাগার ১০ মিনিটের মধ্যে সুপারভাইজার আনোয়ার মোবাইলে মালিককে বিষয়টি জানালেও তিনি (হামজালাল শেখ) কোনো সংস্থা বা জরুরি সেবার কোথাও অবগত করেননি। এছাড়া যাত্রীদের জন্য লঞ্চটিতে ছিল না পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট ও ফায়ার এলার্ম।

আজ (২৭ ডিসেম্বর) সোমবার  সকালে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থেকে মালিক হামজালাল শেখকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য পেয়েছে র‌্যাব।

রাতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী চাহিদা তৈরি করতে লঞ্চটিতে গত নভেম্বরে অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিন সংযোজন করা হয়েছে। যাতে দ্রুত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো যায়।

গ্রেফতার মালিকের তথ্য অনুযায়ী, ঘাট থেকে বিলম্বে লঞ্চ ছাড়লেও গন্তব্যে আগে পৌঁছানো গেলে লঞ্চে যাত্রী বেশি পাওয়া যায়।

এ লক্ষ্যে গত নভেম্বরে লঞ্চে ৬৮০ হর্স পাওয়ারের ইঞ্জিন পরিবর্তন করে ৭২০ হর্স পাওয়ারের ইঞ্জিন সংযোজন করা হয়।

তিনি বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান থেকে ইঞ্জিন পরিবর্তন করা হয়নি। একজন সাধারণ মিস্ত্রি বা ফিটার দ্বারা ইঞ্জিন পরিবর্তন করা হয়েছে।

পূর্বের ইঞ্জিনটি চায়না থেকে তৈরি ছিল। পরে জাপানের তৈরি রিকন্ডিশন ইঞ্জিন লাগানো হয়।

জাহাজের ইঞ্জিন পরিবর্তনের বিষয়ে এবং ইঞ্জিন পরিবর্তন-পরবর্তী যথাযথ কর্তৃপক্ষ থেকে কারিগরি অনুমোদন নেননি। এছাড়া রান ট্রায়ালও করেননি।

কমান্ডার মঈন আরও জানান, লঞ্চে কর্মরত তিনজনের (মাস্টার এবং ড্রাইভার) সরকারি কোনো অনুমোদন ছিল না।ফোনে খবর পেলেও সহায়তা চাননি

লঞ্চটিতে আগুন লাগার ১০ মিনিটের মধ্যে সুপারভাইজার আনোয়ার মোবাইল ফোনে মালিককে আগুন লাগার বিষয়ে অবহিত করেন।

কিন্তু তিনি কোনো সংস্থা বা জরুরি সেবার কোথাও অবগত করেননি। কথোপকথনের পর লঞ্চের ক্রুরা (২৬ জন) জ্বলন্ত ও চলন্ত লঞ্চ রেখে পালিয়ে যান। এতেই ঘটনাটি আরও মর্মান্তিক হয়।

যাত্রীদের জন্য কোনো লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা ছিল না জানিয়ে র‌্যাব মুখপাত্র বলেন, শুধু তার কর্মচারীদের জন্য ২২টি লাইফ জ্যাকেট ছিল।

যাত্রীদের জন্য ১২৭টি বয়া ছিল বলে গ্রেফতার মালিক জানিয়েছেন। তবে অধিকাংশ বয়াই যথাস্থানে ছিল না।

এছাড়া লঞ্চটির কোনো ইন্স্যুরেন্স করা ছিল না বলে গ্রেফতার হামজালাল শেখ জানিয়েছেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com