মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ১২:০৫ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
মিথ্যা মামলা ও দমন-পীড়ন থেকে সরে আসার আহ্বান জানালেন আল্লামা ইমাম হায়াত চট্টগ্রামে সিডিএর অনুমোদন ছাড়াই গরুর হাটের জন্য অবৈধ রাস্তা নির্মাণ: সিন্ডিকেটের পেছনে প্রভাবশালী নেতা আলমগীর রাজশাহীতে ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যার দেড় মাস পর ঢাকায় চাচা গ্রেপ্তার মৌলভীবাজারের পথে পথে সোনালুর মাধুর্য: প্রকৃতির হাতে আঁকা হলুদ রঙের শাওয়ার তানোরে প্রেমিক হ’ত্যায় মামলা, গ্রেপ্তার ৩ রাজশাহীতে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন বাঘায় সড়কে প্রাণ গেল শিক্ষকের,রেখে গেলেন সন্তান সম্ভাবনা স্ত্রী রাজশাহীতে একদিনে ৫ মৃতদেহ উদ্ধার রাজশাহীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই কিশোর নিহত তানোরে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা

বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎবিল দিতে হবে শিক্ষার্থীদের!

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার রাঙ্গাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক নতুন নিয়ম চালু করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ওই বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য প্রতি শিক্ষার্থীকে মাসে ১০ টাকা হারে বিল পরিশোধ করতে হবে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে স্কুলটিতে ৭৮০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এ হিসাব অনুযায়ী শিক্ষার্থীপ্রতি ১০ টাকা হারে আদায় করলে প্রতি মাসে বিদ্যুৎবিল বাবদ ৭ হাজার ৮০০ টাকা আদায় হবে। বছরে ৯৩ হাজার ৬০০ টাকা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত আদায় করবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া বর্তমানে বিদ্যালয়ে প্রতি মাসে এক থেকে দেড় হাজার টাকা বিদ্যুৎবিল আসে। সে হিসাবে বছরে বিদ্যুৎবিল আসে ১২ থেকে ১৮ হাজার টাকা।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, বিদ্যুৎবিলের জন্য শিক্ষার্থীপ্রতি মাসিক ১০ টাকা ফি ধার্য করেছেন শিক্ষকরা। এরইমধ্যে টাকা উত্তোলন শুরু হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা বেতন দিই, সেশন ফি দিই। এরপরও প্রতি মাসে বিদ্যুৎবিল বাবদ ফি চালু করাটা অযৌক্তিক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙ্গাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন নেছার বলেন, তিন ভবনে প্রতি মাসে এক থেকে দেড় হাজার টাকা বিদ্যুৎবিল আসে। ৬০টি ফ্যান চলে। বিলটা দেবে কে? বিলটা তো কাউকে না কাউকে পরিশোধ করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের সরকারি কোনো বরাদ্দ নেই। আমার কাছে মনে হয়েছে, যেহেতু আমাদের খরচ বাড়ছে, আমাদের তো কিছু ইনকামও বাড়ানো দরকার। বিদ্যুতের লাইন চালু করতে আমাদের প্রায় এক লাখ ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এই টাকাটা তো আমাদের ম্যানেজ করতে হবে।

প্রধান শিক্ষক নাসির আরও বলন, এ বছরের জানুয়ারি থেকে বিদ্যুৎবিল বাবদ টাকা নেওয়া চালু হয়েছে। আমরা শিক্ষকরা মিলে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

জানতে চাইলে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাসফাকুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখছি।

পটুয়াখালী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মুহা. মুজিবুর রহমান বলন, ম্যানেজিং কমিটি এ ধরনের সিদ্ধান্ত এবং রেজুলেশন নিয়েছে কি না জানা নেই। বিদ্যুৎবিল নেওয়ার বিষয়ে ওইভাবে সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। আমি খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখবো।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com