বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ১০:২৪ অপরাহ্ন
রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার , এ বি এম মাসুদ হোসেন , বিপিএম বারের দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার , সনাতন চক্রবর্তীর সার্বিক তত্বাবধানে এবং সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার , গোদাগাড়ী সার্কেল , আসাদুজ্জামান ও তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ , কামরুজ্জামান মিয়ার নেতৃত্বে দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে আত্মগোপনে থাকা দশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কুখ্যাত ডাকাত আব্দুস সাত্তার কে আটক করেছে তানোর থানার চৌকস পুলিশ টিমের সদস্যরা ।
গোপন সংবাদের মাধ্যমে ০৭ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন গোবরাতলা ইউনিয়নের ঘুঘুড়িমা গ্রামে ডাকাত সাত্তারের মেয়ে নার্গিস আক্তারের বসত বাড়ীতে রাত্রি অনুমান ০২.৩৫ টায় অভিযান পরিচালনা করে ১০ ( দশ ) বৎসরের সশ্রম সাজা প্রাপ্ত আসামী তানোর থানাধীন ১ নং কলমা ইউনিয়নের কুখ্যাত ডাকাত আব্দুস ছাত্তার , পিতা – মোঃ গরিবুল্লাহ , সাংকিসমত বিল্লী , থানা – তানোর , জেলা – রাজশাহীকে সাজা পরোয়ানা মূলে গ্রেফতার করেন তানোর থানার চৌকস পুলিশ টিম ।
উল্লেখ্য যে , ডাকাতির ঘটনা সংগঠনেরজন্যউক্তআসামীর বিরুদ্ধে তানোরথানার মামলা নং -৮ , ০৯/০৩/১৯৯৯ ইং ধারা -৩৯৯ / ৪০২ রুজু হয় । মামলাটি তদন্ত করিয়া তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্রদাখিলকরেন ।
উক্তঅভিযোগপত্রের ভিত্তিতে বিজ্ঞ দায়রা জজআদালত , রাজশাহী সাক্ষ্য – প্রমান শেষে উক্ত আসামী মোঃ আব্দুসছাত্তারএর বিরুদ্ধে দন্ড বিধি ৩৯৯ ধারারঅভিযোগপ্রমানিতহওয়ায়উক্তধারার অধিনে বর্ণিত আসামীকে ১০ ( দশ ) বৎসরেরসশ্রমকারাদন্ডসহ ১,০০০ / -টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাসেরসশ্রমকারাদন্ডপ্রদানকরেন ।
উক্ত আসামী মামলা হওয়ারপর এলাকা হইতে ভারতের মুর্শিদাবাদে আত্মগোপন করে থাকে । দীর্ঘ ২০ বছর ভারতে থাকার পরে পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেনেরনির্দেশনায়তানোরথানারচৌকসপুলিশটিমকাজ শুরু করে এবং অবশেষে আসামীরঅবস্থানসনাক্ত করে বর্ণিতস্থান হইতে উক্ত আসামীকে গ্রেফতার করিতে সক্ষমহয় তানোর থানার পুলিশ টিম ।
উক্ত আসামী ভারতে লেবারের কাজ করত । মাঝে মধ্যেইমেয়ের বাড়ীতে আসতো । গ্রেফতারকৃত আসামী ডাকাত আব্দুস সাত্তার কে ০৭ এপ্রিল বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হইয়াছে ।