রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ বিল্লাল হোসেন।  আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট রাসেল । ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: কাজী মোস্তফা রুমি । যোগাযোগ : ০৩১-৭২৮০৮৫, ০১৮১১৫৮৮০৮০ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com জহুর উল্লাহ বিল্ডিং (৩য় তলা), পানওয়ালা পাড়া, চৌমুহনী, উত্তর আগ্রাবাদ ১২৭৭, চট্টগ্রাম।

লংগদুতে কচুরিপানা ফুলে প্রকৃতি মেতেছে নতুন রুপে

কচুরিপানা যেন প্রকৃতির এক অপরূপ দান। বেশিরভাগ আবর্জনাময় জলাশয়ে কচুরিপানা জন্মে থাকে। যার ফুলে সুভাশিত হয়ে উঠে খাল-বিল, হাওড়-বাওড়,পুকুর, জলাশয় কিংবা দীঘি। প্রকৃতির এই দানকে অনেকে বাড়তি ঝামেলা মনে করেন। আবার এই ফুলে অনেকে আকৃষ্ট হয়ে প্রকৃতির এই অপূর্ব সৌন্দর্য উপভোগ করেন।

বর্তমানে রাংগামটি জেলার কাপ্তাই হ্রদে খাল-বিল,ঝিলের পানি অনেকটা কম। যেটুকু পানি জমে আছে তাতেই জন্মেছে সবুজ পাতার বেষ্টনির মাঝে ফুটে আছে সাদার উপর হালকা বেগুনি রঙের কচুরিপানা ফুল। তারই ধারাবাহিকতায় লংগদু উপজেলায় পড়ন্ত বিকেলে বিলের ধারের পাশের রাস্তা দিয়ে চলতে গেলে এমনই ফুলের দৃশ্য দেখা যায়। এতে আকৃষ্ট হচ্ছে ফুল প্রেমি মানুষ। পার্বত্য অঞ্চলের খাল-বিল, ছোট নদীতে ফুটে নোংরা জলে স্বর্গীয় এই কচুরিপানা ফুল। নীলচে শিরা-উপশিরায় বিন্যস্ত হালকা বেগুনি রঙের মায়াবী এই ফুল হারানো শৈশবকে খুব কাছে টানে। সকলের কাছে অতি পরিচিতি এক উদ্ভিদের নাম কচুরিপানা।

তবে স্হান যায়গা এবং ভাষার পরিবর্তনের মাধ্যমে অনেকে ফেনা, জারমুনি বলেও চিনে থাকে মনোমুগ্ধকর এই কচুরিপানাকে লংগদু উপজেলার স্থানীয় এক কৃষক বলেন পূর্বে পার্বত্য অঞ্চলে মাছ ধরার ফাঁদ হিসেবে কচুরিপানা আটকে রাখতো বাঁশ এবং রশির সাহায্যে মাছ ধরার এই কৌশল আখ্যা পেয়েছিলো ঝাক নামে,তবে এখন পার্বত্য অঞ্চলে ঝাক নিষিদ্ধ হওয়ায় এটা এখন আর কেউ আটকে রাখার চেষ্টা করেনা, কিন্তু এই কচুরিপানা যেন যেতে চাচ্ছেনা পার্বত্য অঞ্চল ছেড়ে, যথেষ্ট অবহেলায় থেকেও শেষ সময়ে যেন ফুল ফুটিয়ে চোখ জুড়িয়ে দেয়, লুটে নেয় ভালোবাসা।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com