শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
চেয়ারম্যান: মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
কোটা আন্দোলনে সাধারণ স্কুল কলেজ ছাত্র ও ছাত্রীরা ১০ ঘন্টা বন্ধ করে দেয় নওগাঁ-সান্তাহারের রেলযোগাযোগ যশোরের ঝিকরগাছায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা ,কন্যা গুরুতর আহত বঙ্গবন্ধু কন্যা গোলামী চুক্তি করেননি উন্নয়নের চুক্তি করেছেখাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদা নওগাঁর মান্দা গোটগাড়ী অধ্যক্ষের কক্ষের তালা ভেঙে প্রবেশ করলেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিকদের বিতর্কিত করায় এনবিআর কর্মকর্তা মতিউরের প্রথম স্ত্রী লাকীর বিরুদ্ধে বিএমইউজে চট্রগ্রাম জেলা আহবায়ক কমিটির প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রয়াণ দিবস আজ জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও নগদ টাকাসহ পাঁচজন জুয়াড়ি গ্রেফতার বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা-ধরলার পানি, পানিবন্দি ১৫ হাজার মানুষ হাড্ডাহাড্ডি দুই চৌধুরীর ‘লড়াই লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জিতে গেলেন খোরশেদুল আলম চৌধুরী কোন লক্ষণে বুঝবেন বিবাহবিচ্ছেদ ঘটতে পারে?

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় ধানসিঁড়ি নদী যেন খালে পরিণত হয়েছে

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় ধানসিঁড়ি নদী বাঁচিয়ে রাখতে খননের উদ্যোগ নেয় সরকার। তবে খননের পর নদী যেন খালে পরিণত হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, গত দুই বছর আগেও যে নদীর প্রশস্ততা ৮০ ফুট রেখে খনন করা হয়েছে। সেই নদীর প্রশস্ততা এখন ৪৯ থেকে ৫৫ ফুট রেখে খনন কার্যক্রম চলছে; যা একটি খালের সমান।নদীর তলদেশের মাটি উঠিয়ে পাড়ে রাখা হচ্ছে। এতে প্রশস্ততা আরও কমে যাচ্ছে। লোকদেখানো এ খনন কার্যক্রম বন্ধের দাবি করছেন স্থানীয়রা। এসএ নকশা অনুযায়ী খনন চান তাঁরা।রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ একসময়ের প্রমত্তা ধানসিঁড়ি নদীর তীরে বারবার ফিরে আসার সংকল্প করেছিলেন। সেই ধানসিঁড়ি নদী আজ মরা খালে পরিণত হয়েছে। বারবার এ নদী খননের নামে কোটি কোটি টাকা লোপাট হচ্ছে। তবুও এ নদীতে ফিরে আসেনি যৌবনের খরস্রোত। বর্তমানে নদীটি পুনঃখনন শুরু হয়েছে। খননের নামে নদীটি বরং মেরে ফেলা হচ্ছে।

জানা গেছে, ১৯১০ সালের সিএস নকশা অনুযায়ী রাজাপুরের বাঘরী অংশে এ নদীর মোহনার প্রশস্ততা ছিল ৫৬৭ ফুট। তখন এই নদীতে বড় বড় জাহাজ চলত। এ নদীর মোহনায় তখন ছিল দক্ষিণ বঙ্গের সবচেয়ে বড় বন্দর। এখানে কলকাতা থেকে সরাসরি জাহাজ ভিড়ত। তবে দেশ ভাগের পর ১৯৫০ সালে পাকিস্তান সরকারের জরিপে এক নম্বর দাগে ধানসিঁড়ি নদীর মোহনায় প্রশস্ততা ছিল ২০০ ফুট। ১৯৫০ সালের নকশা বর্তমানে বলবৎ থাকলেও নদীর ২০০ ফুট প্রশস্ততার অস্তিত্ব নেই।

ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর ডেল্টাপ্ল্যান অনুযায়ী ৬৪ জেলায় ছোট নদী, খাল খনন প্রকল্পের আওতায় ধানসিঁড়ি নদী খনন কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দুই বছর মেয়াদে দুই কিস্তিতে সাড়ে ৮ কিলোমিটার পুনঃখননের জন্য ৪ কোটি ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দ অনুযায়ী ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান নদীর মোহনা থেকে দেড় কিলোমিটার বাদ দিয়ে রাজাপুর উপজেলার বাঘরী বাজারের জাঙ্গালিয়া নদীর মোহনা পর্যন্ত মোট সাড়ে ৮ কিলোমিটার খনন শুরু হয়। প্রকল্পের কার্যাদেশে নদীর ওপরের প্রস্ত ৮০ ফুট ও সমতল থেকে নদীর গভীরতা ১৫ ফুট এবং নদীর তলদেশের প্রস্ত ২০ ফুট করা হয়। কার্যাদেশে আরও উল্লেখ করা হয়, নদীর তলদেশ থেকে মাটি কেটে পাড় থেকে দূরে ফেলতে হবে। কিন্তু তখন খননকাজে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তদারকির অভাব ছিল। ফলে কার্যাদেশের সঙ্গে বাস্তবের মিল মিল পাওয়া যায়নি।

এতে বর্ষা মৌসুমে খনন করা মাটি আবার নদীতে পড়ে তলদেশ ভরাট হয়ে যায়। ২০২১-২২ অর্থবছরে পুনরায় খননের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্রস্তাব পাঠানো হয়। প্রস্তাব পাস হওয়ায় নতুন করে খননের জন্য ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। এবার খননের কাজ পান পটুয়াখালী জেলার ঠিকাদার আবুল কালাম আজাদ। তিনি ১৫ দিন আগে ধানসিঁড়ি নদীর তলদেশ খননের কাজ শুরু করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সঠিকভাবে খননের অভাবে নদীতে প্রবাহ কমেছে। ফলে দুই পাড়ে কয়েক হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি হয়ে পড়েছে। পানির অভাবে শুকনো মৌসুমে কৃষকেরা জমি চাষাবাদ করতে পারছেন না, তেমনি বর্ষা মৌসুমেও জমিতে আটকে পড়া পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় আমন ও ইরি ধান চাষে বিঘ্ন ঘটছে।

বাঘরী গ্রামের ইউপি সদস্য ফোরোক সিকদার জানান, নদীটির উৎপত্তিস্থল বাঘরী মোহনা একদম ভরাট করে ফেলা হয়েছে। এতে নদীর পানি প্রবাহ কমে যাবে। দ্রুতই পলি জমাট হয়ে পুরো নদীটি মরে যাবে। বর্তমানে যে খনন করা হচ্ছে, তা কোনো কাজেই আসবে না।

মঠবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ জালাল হাওলাদার বলেন, নদীটি খননের নামে মরা খালে পরিণত করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি, যাতে নদীটি যথাযথভাবে খনন করা হয়।

ঠিকাদার আবুল কালাম আজাদ বলেন, নিয়ম মেনেই খনন করা হচ্ছে। কাজ চলছে, কোথাও কোনো ত্রুটি থাকলে সংশোধন করা হবে। যথাযথভাবে খননকাজ শেষ করা হবে।

ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী রাকিব হাসান বলেন, শুধু তলায় চার ফুট খনন করা হচ্ছে। ওপরের প্রশস্ততা আগের মতোই থাকবে। ঠিকাদার কিছু জায়গায় ভুল করেছিলেন। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সেগুলো ঠিক করতে বলা হয়েছে। মাটি কেটে নদীর পাড়ে রাখলেও কাজ শেষে তা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com