শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪০ পূর্বাহ্ন
নাটোরের গুরুদাসপুরে মাদকব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে হত্যা করা হয়েছে অন্তরকে। গত শনিবার (১৬) এপ্রিল দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের নয়াবাজার উদবারিয়া দাখিল মাদরাসার বারান্দা থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ২৪ ঘন্টার মধ্যে মরদেহের পরিচয় সনাক্ত এবং সোমবার (১৮এপ্রিল) রাত দুইটার দিকে সন্দেহভাজন এরশাদ আলী আকাশ (৩৪) এবং রিপন সরকার (৩২) নামের দুই সন্দেহভাজন হত্যাকারীকে পাবনার চাটমোহর থানার গুয়াখাড়া স্টেশন এলাকা থেকে আটক করে র্যাব-৫। নিহত অন্তর চাটমোহরের পাতাইলহাট এলাকার ছবের আলীর ছেলে।
আজ মঙ্গলবার (১৯এপ্রিল) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান, র্যাব-৫ রাজশাহী এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহরিয়ার। তিনি আরো জানান, এরশাদ আলী আকাশ ও রিপন সরকার মাদক ব্যবসায়ী এবং তাদের ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করতো এই ভিকটিম অন্তর। এদের মধ্যে মাদক ব্যবসার টাকার ভাগ বাটোয়ারা দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। পরে তারা অন্তরকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পিত ভাবে অন্তরকে ডেকে নিয়ে গুরুদাসপুরে আসে। পরে ধারাবারিষা ইউনিয়নের নয়াবাজার উদবারিয়া দাখিল মাদরাসার বারান্দায় অন্তরকে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে চোলাই মদ খাওয়ায়। এরপরে অন্তর অচেতন হয়ে পড়লে তার গায়ের শার্ট খুলে দুইজন মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তারপরে অন্তরের মরদেহ বারান্দায় ফেলে রেখে সেখান থেকে তারা চাটমোহরে ফিরে যায়।
গুরুদাসপুরের উদবারিয়া মাদ্রাসার বারান্দায় অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ প্রাপ্তির সংবাদে র্যাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করে। এরই সূত্র ধরে সন্দেভাজন দুই জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের গুরুদাসপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।