শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
চেয়ারম্যান: মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
নাগরপুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নৈরাজ্য প্রতিহত করতে ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচী নওগাঁয় ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে আটক নওগাঁয় সংবাদ প্রকাশের জেরে বার্তা ২৪ ডটকম এর সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম হামলার শিকার নওগাঁর রাণীনগরে এক কৃষকের গোয়াল ঘরের দরজা ভেঙে ২ লাখ টাকার তিনটি গরু চুরি টাঙ্গাইলে শাক-সবজির দাম কমতে শুরু হয়েছে বলছেন সাধারণ ক্রেতা পাইকগাছার সাবেক এমপি রসীদুজ্জামানের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর সিএমপির কোতোয়ালি থানার অভিযানে ডিএমপির পল্টন থানার হত্যা পাইকগাছায় সাবেক এমপি রশিদুজ্জামানের শাস্তির দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ডামুড্যায় উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত মাগুরায় ছেলে হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে উল্টো বাদীর পরিবারের ১৮ জন মামলার আসামি হলেন

শ্রীমঙ্গলে ডাব বেগুন চাষে সফল কৃষক

শ্রীমঙ্গলে ডাব বেগুন চাষে সফল হয়েছেন চাষি। এ জাতের বেগুনের ফলন ভালো হওয়ায় লাভও বেশি হয়। ডাব বেগুন উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের চাষিদের হাতে তোলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস।

বেগুনগুলো দেখতে আপেলের মতো গোলাকার, তাই এই জাতের নাম আপেল। দেখতে অবিকল ডাবের মতো এই জন্য নাম দেয়া হয়েছে ডাব বেগুন। বেগুনের এই দুটি জাতই আমাদের দেশীয় উচ্চফলনশীল জাত।

এই জাতের বীজ সংগ্রহ করা হয়েছে নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার এক কৃষকের নিকট থেকে। এবাই প্রথম এই জাতের বেগুন চাষ করেছেন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার কৃষকরা। চলতি খরিফ-১ মৌসুমে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বেগুনের এই নতুন দুটি জাত কৃষকদের দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করানো হয়েছে।

উপজেলার ১২ জন কৃষক ২০ শতক করে প্রায় ১ হেক্টর জমিতে আপেল ও ডাব বেগুন চাষ করেছেন। প্রথম চাষেই হয়েছে বাম্পার ফলন। ফসলের মাঠে এখন গাছে গাছে ঝুলছে ডাব আর আপেল বেগুন।

উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, এই জাতের বেগুন গাছে পোকা মাকড় বা রোগ বালাই কম হয়। গাছে একটানা চার মাস ফসল ধরে। ফলের রং লালছে বেগুনি। খুবই নরম। একেকটি বেগুনের ওজন হয় ৭০০ থেকে ১০০০ গ্রাম।

এই জাতের বীজ রোপণ করতে হয় কার্তিক মাসে। ৬০ দিন পর পৌষ মাসে গাছে ফুল ও ফল আসতে শুরু করে। আর মাঘ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ফল বিক্রয় উপযোগী হয়। সরেজমিনে খলিলপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এক থেকে দেড় ফুট লম্বা গাছে গাছে বেগুন ঝুলে আছে। কোন গাছের বেগুন ডাব আকৃতির, কোন গাছে আপেলের মতো গোলাকার। ফলন ভাল হয়েছে।

কৃষকরা খুশি মনে মাঠ থেকে বেগুন তুলছেন। সবকটি পটেই বেগুন চাষ করা হয়েছে রাসায়নিক সার ছাড়া। প্রয়োজনে শুধু জৈব সার ও জৈব বালাইনাশক দেয়া হয়েছে। এ সময় ওই গ্রামের কৃষক মুহিবুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি এবাই প্রথম এই নতুন দুই জাতের বেগুন চাষ করেছেন। আগেও বেগুন চাষ করছেন তবে, অন্য জাত। আপেল ও ডাব বেগুন চাষ করে তিনি মহাখুশি।

কারণ অন্য জাতের চেয়ে এই নতুন জাত চাষ করে তিনি অধিক ফলন পেয়েছেন। ফসলে মাঠে পোকা ধরেনি। কোন রোগবালাইয়েও আক্রমণ করেনি। তিনি মাঘের প্রথম থেকে বেগুন বিক্রি করছেন। এ পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৩০০ কেজি। প্রতি কেজি দাম পেয়েছেন গড়ে ৩৫ টাকা করে। আরও ২ হাজার কেজির মতো বিক্রি করতে পাবেন।

মাঠে তার খরচ হয়েছিল ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা। আর খরচ বাদ দিয়ে তার লাভ হবে ৫০ হাজার টাকা। তার মাঠের ফলন দেখে উচ্ছ্বসিত গ্রামের অন্য কৃষকরা। একই গ্রামের ফারুক মিয়া বলেন, ‘ফলন দেখে খুল ভাল লাগছে। আমি আগামীতে এই দুই জাতের বেগুন চাষ করবো।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি বলেন, এই জাত দুটি হাইব্রিড নয়।

দেশীয় উচ্চফলনশীল। কৃষক নিজেরাই বীজ রাখতে পারবে। আমরা ১২টি প্রদর্শনী প্লট থেকেই কৃষকদের বীজ সংগ্রহ করতে বলেছি। যেহেতু এই জাতের বেগুন চাষ করে কৃষকরা লাভবান, তাই উপজেলা নয়টি ইউনিয়নের কৃষকদের মঝে আমরা এই জাত ছড়িয়ে দিতে চাই।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com