শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন
আজ পড়া হলো ১৪৪৩ হিজরির রমজানের প্রথম তারাবি। সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা গেছে। ৬ শ্রেণির মানুষ কোরআনের হেদায়েত পেয়ে ধন্য হবেন। রমজানের প্রথম তারাবি নামাজেই পড়া হয়েছে কোরআন থেকে হেদায়েত পাওয়া ৬ শ্রেণির মানুষের পরিচয় ও গুণ।
হাফেজে কোরআনগণ এ গুণের অধিকারী মানুষের বিবরণ তেলাওয়াতের মাধ্যমেই তারাবি পড়া শুরু করেছেন। হেদায়েত পাওয়া মানুষদের এই গুণগুলো কী?
প্রথম তারাবিতে সুরা ফাতিহাসহ সুরা বাকারার ২০৩নং আয়াত পর্যন্ত পড়া হয়েছে। আজকের তারাবির শুরুতেই ৬টি গুণ উল্লেখ করা হয়েছে। যে গুণগুলোর কারণেই কোরআন থেকে হেদায়াত পাবেন মুমিন মুসলমান। সুরা বাকারার শুরুতেই মুমিনের সে গুণগুলো তুলে ধরা হয়েছে এভাবে-
ذَلِكَ الْكِتَابُ لاَ رَيْبَ فِيهِ هُدًى لِّلْمُتَّقِينَ – الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ الصَّلاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنفِقُونَ – والَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنزِلَ مِن قَبْلِكَ وَبِالآخِرَةِ هُمْ يُوقِنُونَ – أُوْلَـئِكَ عَلَى هُدًى مِّن رَّبِّهِمْ وَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ
‘এটি সেই কিতাব যাতে কোনো সন্দেহ নেই। এটি পরহেজগারদের জন্য পথ প্রদর্শনকারী। যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামাজ প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি তাদেরকে যে রিজিক দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে।
আর যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে সেসব বিষয়ের উপর যা কিছু তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং সেসব বিষয়ের উপর যা তোমার আগের (নবিদের) প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। আর আখেরাতকে যারা নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করে। তারাই নিজেদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে সুপথ প্রাপ্ত আর তারাই যথার্থ সফলকাম।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ২-৫)
আজ (২ এপ্রিল) শনিবার প্রথম তারাবি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সন্ধ্যায় চাঁদ দেখার মাধ্যমেই শুরু হয়েছে রহমতের মাস রমজান। আগামীকাল (০৩ এপ্রিল) রমজানের প্রথম রোজা পালন করবে মুসলিম উম্মাহ।
আজকের তারাবি নামাজের শুরুতেই সেসব গুণ পড়া হয়েছে; যেসব গুণ অর্জন করতে পারলেই কোরআনে হেদায়েতে আলোকিত হবে মুমিন মুসলমান।
তারাবি নামাজের প্রথম রাকাআতে হাফেজে কোরআনগণ ঘোষণা করেন-
الم – ذَلِكَ الْكِتَابُ لاَ رَيْبَ فِيهِ هُدًى لِّلْمُتَّقِينَ
‘আলিফ লাম মিম; এটি সেই কিতাব যাতে কোনো সন্দেহ নেই। এটি পরহেজগারদের জন্য পথ প্রদর্শনকারী।
নিঃসন্দেহে কোরআনুল কারিম মহান আল্লাহর কিতাব। যেটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নির্ভুল সত্য জ্ঞানে সমৃদ্ধ। এ কিতাবই মানুষের সঠিক প্রাপ্তির একমাত্র উপায়।
কোরআন থেকে উপকৃত হওয়ার শর্ত
মহাগ্রন্থ আল-কোরআন থেকে হেদায়াত পেতে হলে কয়েকটি মৌলিক গুণ শর্ত মানতে হবে। যা শুরুতেই বলা হয়েছে। আর তাহলো-
১. আল্লাহকে ভয়কারী
প্রথম গুণটি হলো- মুত্তাকি তথা আল্লাহকে ভয় করা। মুত্তাকি হওয়ার মাধ্যমেই ভালো ও মন্দের মধ্যে পার্থক্য করার ক্ষমতা থাকতে হবে। ভালোকে গ্রহণ করার এবং মন্দ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের ইচ্ছা থাকতে হবে।
তবে যারা দুনিয়ায় পশুর মতো জীবন যাপন করে, নিজেদের কৃতকর্ম সঠিক কিনা সে ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করে না। সঠিক কিনা তা বিচার না করে সবাই যে দিকে চলছে কিংবা দুনিয়ার যে প্রবৃত্তি তাকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে সে দিকেই চলতে অভ্যস্ত হচ্ছে, তাদের জন্য কোরআন মাজিদে কোনো দিকনির্দেশনা নেই।
২. অদৃশ্যে বিশ্বাসী
কোরআন থেকে উপকার পাওয়ার জন্য দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে অদৃশ্যে বিশ্বাস করা। ‘গায়েব’ বা অদৃশ্য বলতে এমন গভীর সত্যের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে; যা মানুষের ইন্দ্রিয়াতীত এবং কখনও সরাসরি সাধারণ মানুষের প্রত্যক্ষ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতায় ধরা পড়ে না।
যেমন- ‘মহান আল্লাহর সত্ত্বা ও গুণাবলী, ফেরেশতা, ওহি, জান্নাত এবং জাহান্নাম ইত্যাদি।’
এ সত্যগুলো না দেখে মেনে নেয়া এবং নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এগুলোর খবর দিয়েছেন বলে তাঁর খবরের সত্যতার প্রতি আস্থা রেখে এগুলোকে মেনে নেয়াই হচ্ছে ‘ইমান বিল গায়েব’ বা অদৃশ্যে বিশ্বাস।
এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আয়াতের অর্থ হচ্ছে- অদৃশ্য বিষয়গুলো অনুভব করা যায় না- এমন বিষয়গুলো সত্য বলে যে ব্যক্তি মেনে নিতে প্রস্তুত হবে; একমাত্র সেই কোরআনের হেদায়েত ও পথনির্দেশনা থেকে উপকৃত হতে পারবে।
পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি অদৃশ্য বিষয়গুলো মেনে নেয়ার ক্ষেত্রে দেখার বা ঘ্রাণ নেয়ার কিংবা স্বাদ আস্বাদন করার শর্ত আরোপ করবে এবং যে ব্যক্তি বলে, আমি এমন কোনো জিনিস মেনে নিতে পারি না যা পরিমাণ করা ও ওজন করা যায় না; এমন ব্যক্তিও কোরআন থেকে হেদায়াত ও পথনির্দেশনা পাবে না।
৩. নামাজ প্রতিষ্ঠাকারী
কোরআনের হেদায়াত ও দিকনির্দেশনা পাওয়ার তৃতীয় শর্ত হচ্ছে নামাজ প্রতিষ্ঠা করা। এর অর্থ হলো- যারা কোরআনের নির্দেশ মেনে নিয়ে বসে থাকবে তারা কোরআন থেকে উপকৃত হবে না। বরং মেনে নেয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে সে নির্দেশনার আনুগত্য করা এবং তা কার্যকর করাই হচ্ছে কোরআন থেকে উপকৃত হওয়ার অন্যতম মাধ্যম।
বাস্তবে আনুগ্ত্য দেখানোর অন্যতম ও স্থায়ী নিদর্শন হচ্ছে নামাজ। ঈমান আনার পর সময় অতিবাহিত হতে না হতেই মুয়াজ্জিন নামাজের জন্য আজানের মাধ্যমে আহ্বান জানালে, ঈমানের দাবিদার ব্যক্তি আনুগত্য করতে প্রস্তুত কিনা তার ফয়সালা তখনই হয়ে যায়।
শুধু নিজে নিজে নামাজ পড়া নয়; সামষ্টিগতভাবে নামাজ প্রতিষ্ঠা করাই আয়াতের অর্থের অন্তর্ভূক্ত। যখন মানুষ নামাজ প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় হবে তখনই মানুষ কোরআন থেকে পাবে হেদায়াত ও দিকনির্দেশনা।
৪. আল্লাহর পথে ব্যয়কারী
কোরআনের হেদায়াত ও দিকনির্দেশনা পাওয়ার ৪র্থ শর্ত হচ্ছে, আল্লাহর দেয়া জীবিকা থেকে তারই পথে খরচ করা। সংকীর্ণমনা বা অর্থলোলুপ না হয়ে মানুষকে হতে হবে আল্লাহ ও তার বান্দার অধিকার আদায়কারী। আল্লাহ যে সম্পদ দিয়েছেন তা অসহায়দের মাঝে বিলিয়ে দেয়া।
তার সম্পদে আল্লাহ এবং বান্দার যে অধিকার স্বীকৃত হয়েছে তাকে তা আদায় করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। যে বিষয়ের ওপর ঈমান বা বিশ্বাস স্থাপন করেছে, তার ওপর ঈমান আনাও অর্থনৈতিক ত্যাগ স্বীকার করা। আর তাতে কোরআন থেকে উপকৃত হবে বিশ্বাস স্থাপনকারী।
৫. আসমানি কিতাবে বিশ্বাসী
কোরআন হেদায়াত ও দিকনির্দেশনা পেয়ে উপকৃত হওয়ার ৫ম শর্ত হচ্ছে কোরআনসহ সব আসমানি কিতাবের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা এবং কোরআনের বিধানগুলো মেনে চলা। এ শর্তটি মেনে চলার কারণে একটি বিষয় সুস্পষ্ট হয়ে যায়- যারা আল্লারহ পক্ষ থেকে মানুষের জন্য বিধান আসার প্রয়োজনীয়তাকে আদতে স্বীকারই করে না কিংবা প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকার করলেও এজন্য ওহি বা নবুয়তের প্রয়োজন আছে বলে মনে করে না; তারা বের হয়ে যায়। এ প্রকৃতির লোকেরা কোরআন থেকে হেদায়াত পাবে না।
৬. পরকালে বিশ্বাসী
কোরআন থেকে হেদায়াত ও দিকনির্দেশনা পাওয়ার সব শেষ শর্তটি হচ্ছে পরকালের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। শুধু মৌখিকভাবে পরকালে বিশ্বাসী হলে চলবে না। পরকালে বিশ্বাসীদের আবার এ বিষয়গুলোও মেনে নিতে হবে-
> এ দুনিয়ায় কোনো মানুষই দায়িত্বহীন জীব নয়। বরং নিজের সব কাজের জন্য তাকে আল্লাহর সামনে জবাবদিহি করতে হবে।
> দুনিয়ার বর্তমান ব্যবস্থা চিরন্তন নয়। এক সময় এর মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে এবং সে সময়টা একমাত্র আল্লাহই জানেন।
> এ দুনিয়া শেষ হওয়ার পর আল্লাহ তাআলা আর একটি দুনিয়া তৈরি করবেন। সৃষ্টির শুরু থেকে নিয়ে কেয়ামত পর্যন্ত পৃথিবীতে যত মানুষের জন্ম হয়েছে সবাইকে সেখানে একই সঙ্গে পুনরায় সৃষ্টি করবেন। সবাইকে একত্র করে তাদের কর্মকাণ্ডের হিসাব নেবেন। সবাইকে তার কাজের পূর্ণ প্রতিদান দেবেন।
> আল্লাহর এ সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে সৎলোকেরা জান্নাতে স্থান পাবে এবং অসৎলোকেরা নিক্ষেপিত হবে জাহান্নামে।
মনে রাখতে হবে
বর্তমান জীবনের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি-অসমৃদ্ধি সাফল্য ও ব্যর্থতার প্রকৃত মানদণ্ড নয়। বরং আল্লাহ তাআলা শেষ বিচারের দিন যে ব্যক্তি মুক্তি পাবে সেই হচ্ছে সফলকাম। আর সেখানে যে মুক্তি পাবে না সে ব্যর্থ।
আজকের তেলাওয়াতকৃত অংশের বিষয়গুলোকে ১০টি পর্বে ভাগ করে আয়াতের বিষয়বস্তুগুলো তুলে ধরা হয়েছে। তাহলো-
প্রথম পর্ব : (আয়াত ১-২৯)
>> মুত্তাকিদের পথনির্দেশিকা, সফলতা পাওয়ার শর্ত ও পরিচয়; >> কাফেরদের পরিচয় এবং >> মুনাফিকের পরিচয়। (১-২০) >> সমগ্র মানবজাতির প্রতি ইবাদাতের আহ্বান; >> কোরআনের সন্দেহপোষণকারীদের প্রতি চ্যালেঞ্জ; >> মুমিনদের জন্য জান্নাতের বর্ণনা; >> আল্লাহর অবাধ্যকারী কাফের-ফাসেকদের ক্ষতিগ্রস্তের বিবরণ (২১-২৯)।
দ্বিতীয় পর্ব (আয়াত ৩০-৩৯)
>> মানুষের জ্ঞানগত শ্রেষ্ঠত্বের আলোচনা ও হজরত আদম আলাইহিস সালামের খিলাফাত (৩০-৩৩); >> হজরত আদম আলাইহিস সালামের মর্যাদা ও সম্মান; >> হজরত আদম আলাইহিস সালামকে দুনিয়া প্রেরণ; >> আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে পৃথিবীতে মানুষের অবস্থান; >> গোনাহ থেকে তাওবার শিক্ষা এবং >> ইবলিসের (শয়তানের) পতন (৩৪-৩৯)।
তৃতীয় পর্ব : (আয়াত ৪০-৭৪)
>> ইয়াহুদিদের ইতিহাস; >> মুসলমানদের দুর্দশা ও তার কারণ; >> আল্লাহর দ্বীন জমিনে বাস্তবায়নের প্রস্তুতি (৪০-৪৬); >> অকৃতজ্ঞ ইয়াহুদি জাতির বর্ণনা (৪৭-৬৪); >> ইয়াহুদিদের হঠকারিতা (৬৫-৬৬); >> কোরআনে বর্ণিত ঐতিহাসিক গরু (গাভী) যবেহের বর্ণনা (৬৭-৭৪)
চতুর্থ পর্ব : (আয়াত ৭৫-১০৩)
>> ইয়াহুদিদের হিদায়াতে তৎকালীন মুমিনদের অবস্থার বর্ণনা (৭৫-৭৭) >> ইয়াহুদি প্রসঙ্গ : বনি ইসরাঈলের ইতিবৃত্ত (৭৮-৮০); >> মানুষের পাপ-পূণ্যের বিচার (৮১-৮২); >> ইয়াহুদিদের প্রতিশ্রুতিভঙ্গ (৮৩-৮৭); >> বিশ্বনবির সঙ্গে ইয়াহুদিদের প্রতারণা (৮৮-৯৩); >> পরকালের সফলতা লাভে ইয়াহুদিদের গলাবাজি (৯৪-৯৬); >> জিব্রিল আলাইহিস ও বিশ্বনবির সঙ্গে ইয়াহুদিদের শত্রুতা পোষণ (৯৭-৯৮) >> বিশ্বনবির প্রতি কুরাআন নাজিল ও তাঁর সত্যয়ন (৯৯-১০১) >> ইয়াহুদিদের জাদু বিদ্যা বা জাদু প্রীতি (১০২-১০৩)
পঞ্চম পর্ব : (আয়াত ১০৪-১২৩)
>> ইয়াহুদিদের শিষ্টাচার বিবর্জিত আচরণ (১০৪-১০৫); >> কোরআনের আয়াত রহিত সম্পর্কিত ব্যাখ্যা (১০৬-১০৮); >> ইয়াহুদিদের ষড়যন্ত্র (১০৯); >> মুসলমানের চেতনাকবোধ জাগ্রত (১১০); >> ইয়াহুদিদের প্রতিপক্ষ নাসারাদের গলাবাজি (১১১-১১২); >> ইয়াহুদি-খ্রিস্টান পরস্পরের ঝগড়া (১১৩); >> কিবলা পরিবর্তনে ইয়াহুদিদের অপপ্রচার (১১৪-১১৫); >> ইয়াহুদি-খ্রিস্টান-মুশরিকদের ভ্রান্ত বিশ্বাস (১১৬-১১৮, ১২০-১২১); >> নির্ভেজাল তাওহিদের ঘোষণা (১১৯); >> অন্যদের সঙ্গে ঈমান সবচেয়ে বড় আদর্শিক সংঘাত (১২২-১২৩);
ষষ্ঠ পর্ব : (আয়াত ১২৪-১৪১)
>> হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম মুসলিম মিল্লাতের ইমাম বা নেতা; >> বাইতুল্লাহ বা কাবা ঘর নির্মাণ; >> বাইতুল্লাহ নির্মাণকাল হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের দোয়া (১২৬-১২৮); >> রাসুল প্রেরণে দোয়া (১২৯); >> হজরত ইয়াকুব আলাইহিস সালামের বংশধরদের আলোচনা (১৩০-১৪১)।
সপ্তম পর্ব : (আয়াত ১৪২-১৫৭)
>> জাতীয় ঐক্যের প্রতীক কিবলা পরিবর্তনের রহস্য আলোচনা; >> মুসলিম জাতির গুণ ও পরিচয় এবং অমুসলিমদের কার্যাবলী; >> বিশ্বনবির নবুয়ত; >> আল্লাহর শুকরিয়ার সঠিক ধারণা ও প্রাসঙ্গিকতা; >> ধৈর্য ও নামাজ দ্বারা আল্লাহর সাহায্য লাভ; >> ঈমানের অগ্নিপরীক্ষা ও শহিদের মর্যাদা;
অষ্টম পর্ব : (আয়াত ১৫৮-১৭৭)
>> সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নির্দশন; >> সত্য গোপনকারী অবিশ্বাসী নেতাদের ভয়াবহ পরিণতি ও হুশিয়ারি; >> তাওহীদের মূলনীতি, ঈমানি চিন্তাধারা, হালাল-হারাম সম্পর্কিত কোরআনি নীতিমালা; >> পূর্ব পুরুষদের অন্ধ অনুকরণের কুপ্রভাব; >> ইবাদাত-বন্দেগিতে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গী
নবম পর্ব : (আয়াত ১৭৮-১৮৮)
>> ইসলামে কিসাস বা হত্যাকারীর শাস্তির বিধান; >> মুক্তিপণের সময়সীমা; >> অসিয়তের বিধান; >> রোজা বিধান, শিক্ষা ও তাৎপর্য; >> সেহরি খাওয়ার বিধান; >> ই’তিকাফের বিধান; >> আল্লাহর কাছে বান্দার সাহায্য কামনার আদেশ; >> অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ ভোগ ও তার বিধান;
দশম পর্ব : (আয়াত : ১৮৯-২০৩)
>> চাঁদের আবির্ভাব, ক্রমবৃদ্ধি ও ক্রমহ্রাসের বিবরণ; >> কুসংস্কারের মুলোৎপাটন; >> পবিত্র মাসসমূহে যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষিদ্ধ; >> জিহাদে লক্ষ্য উদ্দেশ্য, বিধান; >> আল্লাহ পতে ব্যয়; >> হজ ও ওমরা বিধি-বিধান; >> হজের সমাপ্ত পর্বের আলোচনা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কোরআন কারিম বুঝে পড়ার এবং আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।