বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৪৬ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ বিল্লাল হোসেন।  আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট রাসেল । যোগাযোগ : ০৩১-৭২৮০৮৫, ০১৮১১৫৮৮০৮০ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com জহুর উল্লাহ বিল্ডিং (৩য় তলা), পানওয়ালা পাড়া, চৌমুহনী, উত্তর আগ্রাবাদ ১২৭৭, চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
উন্নয়ন চাইলে নৌকার বিকল্প নেই-ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী বিজিবির শততম রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ সম্পন্ন পদুয়ায় বাজারে সাত টি দোকানে ভয়াবহ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত সিএনজি চালক মোঃ কামাল হোসেন, মৃত্যুবরণ করেন সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগেই ‘হোঁচট’ খেয়েছেন চট্টগ্রামের পাঁচটি আসনে হেভিওয়েট আট প্রার্থী যশোরে বিএনপির ডাকা অবরোধে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক ভোটারের ভুয়া স্বাক্ষরসহ গুরুতর সব ‘গরমিল’ ২ স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়ন বাতিল হয়েছে মৃত্যু কুফে পরিনিত চট্রগ্রাম কক্সবাজার হাইওয়ে স্বামীরা ক্ষমতাধর,অর্ধাঙ্গিনীরা সম্পদশালী কেউ কেউ সম্পদে স্বামীকেও ছাড়িয়ে গেছেন সংসদীয় আসন নং-২৯২, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতালেব এবং ডা. মিনহাজের মনোনয়নপত্র বাতিল

করোনার ধকল মোকাবিলায় ২১২৫ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক

করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কর্মসূচি বাস্তবায়নে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। দেশের অর্থনীতি ও আর্থিক খাত শক্তিশালীকরণ এবং করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মসংস্থান অটুট রাখার ক্ষেত্রে এ অর্থায়ন সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

এতে করোনার ধকল সামলে দেশের প্রবৃদ্ধির ধারাও থাকবে অব্যাহত। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এ ঋণের পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ১২৫ কোটি টাকা।বাংলাদেশকে ফাস্ট রিকভারি অ্যান্ড রেজিলেন্স ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিটের আওতায় বিশাল অংকের এ অর্থ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

আন্তর্জাতিক এ আর্থিক সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটনে বোর্ড সভায় এ ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আজ (১ এপ্রিল) শুক্রবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাংক কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে বাংলাদেশ সরকারের পাশে থাকবে। ভবিষ্যৎ ধাক্কাগুলোর প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আর্থিক খাতের নীতিসমূহ শক্তিশালী করতে সহায়তার অংশ হিসেবে ২৫ কোটি ডলার অর্থায়ন অনুমোদন করা হয়েছে৷

এ অর্থ সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়াতে এবং প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে রাজস্ব ও আর্থিক খাতের সক্ষমতা বাড়াবে। এটি দক্ষতা উন্নত করতে এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। একইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনসহ ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলোর বিরুদ্ধে টেকসই উন্নয়ন করবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেছেন, ২০২০ সাল থেকে জরুরি সহায়তা, টিকাদান এবং অন্যান্য করোনা সংকট পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য বাংলাদেশকে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থায়ন করা হয়েছে। এ ঋণে সবুজায়ন, টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার করা হবে। কম কার্বন বৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করার জন্য তার নীতি এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামোকে শক্তিশালী করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টাকে আরও ত্বরান্বিত করবে।

এ প্রোগ্রামটি জাতীয় ট্যারিফ নীতির উন্নয়নে সহায়তা করে, যা বাণিজ্য কর আধুনিকীকরণে সহায়তা করবে। অনাবাসিক ডিজিটাল পরিষেবা সংস্থাসমূহসহ বিদেশী সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো হবে। যেমন- অনুসন্ধান, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ক্লাউড পরিষেবা সংস্থাগুলো আধুনিক হবে। ভ্যাট রিটার্ন জমা দিতে এবং অর্থ দেওয়ার কাজকে সহজ করা হবে।

জাতীয় ই-গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সিস্টেমের সম্প্রসারিত কভারেজ সরকারি ব্যয়ের দক্ষতা বাড়াবে। এ অর্থায়ন ব্যাংক কাঠামো সংস্কারে ব্যবহার হবে। পেমেন্ট এবং সেটেলমেন্ট সিস্টেমের উন্নয়ন এবং দক্ষতা জোরদার করতে নতুন আইন প্রস্তুত করা হবে, যা ডিজিটাল এবং মোবাইল আর্থিক পরিষেবাগুলোকেও উৎসাহিত করবে। প্রোগ্রামটি বিভিন্ন পাবলিক সেভিংস সুদের হারের সমন্বয় সাপোর্ট করবে।

এ কর্মসূচি সরকারের নগদ স্থানান্তর কর্মসূচিকে তরান্বিত করতে সাহায্য করবে। যা ভবিষ্যতের ধাক্কা মোকাবিলায় এবং নগদ-ভিত্তিক প্রোগ্রামের জন্য সরকার-টু-ব্যক্তি পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার বাড়াবে। জরুরি সহায়তার জন্য নতুন এবং বিদ্যমান সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করে বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড়সহ জলবায়ু-সম্পর্কিত সংকটকালে আরও দ্রুত সহায়তা দেওয়ার কাজ সহজ করবে।

এছাড়াও এ কর্মসূচি বাংলাদেশকে স্বল্প-কার্বন অর্থনীতিতে উত্তরণে সহায়তা করবে। সংশোধিত জাতীয় বিল্ডিং কোড ভবনগুলোতে শক্তি দক্ষতা উন্নত করবে, যেখানে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পে পরিকল্পিত বিনিয়োগের ৮ হাজার ৪৫১ মেগাওয়াট বাতিল করার কাজকে সহায়তা করবে।

এ অর্থায়ন বাংলাদেশকে সবুজ এবং টেকসই করতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে সহায়তা করবে দাবি করে বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ইকোনমিস্ট বার্নার্ড হ্যাভেন বলেন, আর্থিক ও আর্থিক খাতের নীতিসমূহ প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। যখন সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির কভারেজ এবং দক্ষতা বাড়ে তখন অর্থনৈতিক ধাক্কা এমনিতেই মোকাবিলা করা যায়। এ ঋণ অনুমোদন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় দরিদ্র ও দুর্বল জনগোষ্ঠীকে রক্ষায় সহায়তা করবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com