সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ বিল্লাল হোসেন।  আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট রাসেল । ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: কাজী মোস্তফা রুমি । যোগাযোগ : ০৩১-৭২৮০৮৫, ০১৮১১৫৮৮০৮০ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com জহুর উল্লাহ বিল্ডিং (৩য় তলা), পানওয়ালা পাড়া, চৌমুহনী, উত্তর আগ্রাবাদ ১২৭৭, চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
অ্যামাজনের নদীতে শতাধিক ডলফিন নিহত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৮৮২ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি শ্রীমঙ্গলে উপজেলা প্রশাসন ও ভোক্তার যৌথ বাজার মনিটরিং, ৩ প্রতিষ্টানকে জরিমানা রাউজানে চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র শিবলী সাদিক হৃদয়’কে হত্যা মামলার ২ আসামী আটক মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র আরও ১৫০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে জাইকা এবার ভারতে দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিল আফগানিস্তান বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আবেদনের মতামত পাঠিয়ে দেয়া হবে আজ : আইনমন্ত্রী শ্রীমঙ্গলে বিশ্ব হার্ড দিবস উপলক্ষে সপ্তাহব্যপী কর্মসূচী উদ্বোধন স্বচ্ছ ভারত দিবস পালন ডিএলএসএর উদ্যোগে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট এসোসিয়েশন এর কমিটি গঠন

কেমন হবে রমজানে ঘুম?

রমজান মাসে রাতে আমাদের ঘুমের রদবদল ঘটে। শেষরাতে উঠে সাহরি খেতে হয় বলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এই সময় পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য কী করবেন সেই পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অনারারি মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রায়হান উদ্দিন। লিখেছেন আতিফ আতাউর।

ছোটবেলা থেকে রমজান মাসে ৩০টি রোজা রাখেন একটি বেসরকারি ব্যাংকের ক্যাশ অফিসার নিগার মাহবুবা। রোজা রাখা নিয়ে তাঁর কোনো আপত্তি নেই, বরং খুশিই লাগে তাঁর। কিন্তু ঘুমের বেলায় একবিন্দু ব্যাঘাত ঘটলে সব এলোমেলো লাগে। মাথা ঝিমঝিম করে, মেজাজ খিটখিটসহ সারা দিন কাজেও মনোযোগ দিতে পারেন না।

এ জন্য তিনি যখন ঘুমান পারতপক্ষে কেউ তাঁকে বিরক্ত করে না। বাসায়ও বলে দেওয়া হয়, তাঁর ঘুমের সময় যেন কোনো ডিস্টার্ব না হয়। রোজার প্রথম কয়েক দিন শেষরাতে ওঠা নিয়ে একটু কষ্ট হলেও ধীরে ধীরে মানিয়ে নেন। কমতি ঘুমটুকু ঘুমিয়ে নেন ইফতারের আগে, অফিস থেকে ফিরে। বললেন, ‘রমজান মাসে আমাদের অফিস একটু আগে শুরু হয় বলে শেষও হয় তাড়াতাড়ি। এ জন্য অফিস থেকে ফিরে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিই। অন্য সময় রাত জাগার অভ্যাস থাকলেও এই মাসে তারাবির নামাজ শেষে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ি। সাহরির পর ফজর নামাজ পড়েও ঘণ্টা দুয়েক ঘুমাই। ’

রমজান মাসে সাহরি খেতে শেষরাতে উঠতে হয় বলে একটানা ঘুমানো যায় না। এতে আমাদের ঘুমের স্বাভাবিক সাইকেলে পরিবর্তন ঘটে। রোজার সময় সুস্থ থাকতে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মতো পর্যাপ্ত এবং গভীর ঘুম খুব গুরুত্বপূর্ণ। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের শারীরিক সুস্থতার জন্য দৈনিক ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ঘুম দরকার। আমরা সারা দিন যে পরিমাণ কাজ করি, তাতে শরীরের কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোর পুনর্নির্মাণ এবং ফের সতেজ হয়ে ওঠার জন্য বিশ্রামের দরকার হয়। ঘুমের মাধ্যমে শরীর বিশ্রাম পায়। এ জন্যই দেখা যায়, কেউ যদি অতিরিক্ত কাজ করে এবং কম ঘুমায়, তাহলে তার শরীর ভেঙে যায়, ক্লান্তি বোধ করে, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। কাজকর্মে কম ঘুমের প্রভাব পড়ে।

আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে বায়োলজিক্যাল ক্লক নামে একটি প্রাকৃতিক ঘড়ি রয়েছে, যাকে দেহঘড়ি বলা হয়। চিকিত্সাবিজ্ঞানে এর নাম সার্কাডিয়ান রিদম। এই প্রক্রিয়াটি আমাদের ঘুমানো এবং ঘুম থেকে জেগে ওঠার পেছনে কাজ করে। এই প্রক্রিয়ার কারণে আমরা সাধারণত একটানা সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমিয়ে থাকি। কিন্তু কোনো কারণে এই সময়ের মধ্যে জেগে উঠতে হলে ব্যাঘাত ঘটে সার্কাডিয়ান রিদমে। রমজান মাসে সাহরি খাওয়ার জন্য শেষরাতে ঘুম থেকে উঠতে হয়। রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে যেতেও নানা কারণে দেরি হয়। আবার সাহরির পর অফিস ও দিনের কাজের জন্যও বেশিক্ষণ ঘুমানো যায় না। ফলে রমজান মাসে একটানা বেশি সময় ঘুমানোর সুযোগ নেই। এ জন্য রাতে যত তাড়াতাড়ি ঘুমানো যায় তত ভালো, বিশেষ করে তারাবি নামাজ পড়ে যত দ্রুত ঘুমানো যাবে, তত বেশি ঘুমানোর সময় পাওয়া যাবে। দেরি করে ঘুমালে সাহরি খেতে উঠতে কষ্ট হবে। ঘুমও কম হবে।

এ জন্য সবচেয়ে ভালো হয় রমজান মাসের জন্য একটি রুটিন করে নেওয়া। একেকজন মানুষের জীবনযাপন একেক রকম। এ জন্য যার যার সুবিধামতো একটি রুটিন করে নেওয়া ভালো। রমজান মাসে যদি কর্মস্থলে সকাল সকাল পৌঁছতে হয়, তবে রাতে খুব তাড়াতাড়ি ঘুমাতে হবে। সে ক্ষেত্রে তাঁদের সাহরির পর বেশিক্ষণ ঘুমানো সম্ভব হয় না। যদি তেমন ব্যস্ততা না থাকে, তবে সাহরির পরও ঘণ্টা দুয়েক ঘুমিয়ে নেওয়া ভালো। তবে যে যখনই ঘুমান না কেন, মনে রাখতে হবে দিন ও রাত মিলিয়ে ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম হচ্ছে কি না। এর কম ঘুম হলে তা আমাদের শরীরে নানাভাবে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে।

এ জন্য রমজান মাসে রাত ১১টার মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়ুন। ৩টার সময় উঠে সাহরি খেয়ে ফজর নামাজ পড়ে ভোর ৫টায় আবার ঘুমিয়ে যান। ৭টায় উঠে অফিস বা কাজের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়ুন। তাহলে সাহরির আগে চার ঘণ্টা এবং পরে দুই ঘণ্টা মিলিয়ে মোট ছয় ঘণ্টা ঘুমাতে পারবেন। এ ছাড়া দিনের মধ্যে একটু অবসর পেলে আধাঘণ্টা চেয়ারে বা ডেস্কে ঘুমিয়ে নিতে পারেন। এই ঘুমটাও আপনাকে সতেজ ও স্বাভাবিক থাকতে সাহায্য করবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com