সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:২৫ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
চেয়ারম্যান: মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে যুবদল নেতা বহিষ্কার চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকায় স্পোর্টস জোনের টার্ফ উদ্বোধনকালে সংঘটিত সংঘর্ষ চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট এলাকা হতে ২৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানার গার্মেন্টস কর্মী ধর্ষণ ৫নং চরজুবিলী ইউনিয়ন যুবদলের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নওগাঁর নিয়ামতপুর বালাহৈর গ্রামের বিকলঙ্গ সুলতানা ইয়াসমিন ভিক্ষা করে সংসার চালায় রূপগঞ্জের কাঞ্চন সেতুর টোল আদায় বন্ধের দাবীতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ  সড়ক অবরোধ চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর ৬ বছরের কণ্যা শিশু ধর্ষণ পুলিশের অভিযানে গাজীপুর থেকে চুরি হওয়া ১০,০৯০ পিস টি-শার্ট চট্টগ্রামে উদ্ধার কম্বাইন্ড হিউম্যান রাইটস ওয়ার্ল্ড এর উদ্যোগে পাঞ ঞা জ্যোতি ভিক্ষু সংবর্ধিত 

হাইব্রিড করলা টিয়া সুপার চাষে সফল কৃষক শপিক মিয়া

নিরাপদ সবজির গ্রাম বনগাঁও। যে গ্রামের অধিকাংশ পরিবার কৃষি নির্ভরশীল। তাই সারা বছর এই গ্রামে উৎপাদিত হয় বিষমুক্ত নানা জাতের সবজি। এবার অধিক ফলনশীল ও আকর্ষণীয় হাইব্রিড করলা টিয়া সুপার চাষে চমক সৃর্ষ্টি করেছেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্ধুরখান ইউনিয়নের সবজির গ্রাম হিসাবে পরিচিত বনগাঁও গ্রামের কৃষক শপিক মিয়া।

লালতীরের অধিক ফলনশীল ও আকর্ষণীয় হাইব্রিড করলা টিয়া সুপার চাষের সফলতায় অনান্য কৃষকদের মাঝেও সারা জাগিয়েছেন তিনি। তাঁর এমন সফলতা দেখে এ গ্রামের বেকার যুবক সহ অনেকেই এখন ঝুঁকছেন করলা চাষের দিকে। অল্প খরছে অধিক লাভবান হওয়ায় করলা চাষ করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন এলাকার অনেক কৃষক। এই উচ্চ ফলন শীল বীজ সকল কৃষদের মাঝে বিস্তার ঘটাতে উদ্যোগ নিয়েছে বীজ এর উৎস প্রতিষ্ঠান লাল তীর সীড।

শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্ধুরখান ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের কৃষক শপিক মিয়া। তার আড়াই বিঘা জমিতে প্রথম বারের মত পরীক্ষা মূলক শুরু করেন লালতীর এর হাইব্রিড জাতের করলা টিয়া সুপার চাষ। তার মাঠে এখন সবুজের সমারোহ। চারা লাগানোর ৪৫ দিনের মাথায় ফসল সংগ্রহ করা শুরু করেন এই কৃষক। ওজনে একেক টি করলা হয়ে থাকে ৩০০ গ্রাম।

আড়াই বিঘা জমিতে করলা চাষ করতে খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকার মতো। আর মাঠ থেকে প্রতি প্রতি কেজি করলা বিক্রি করেছেন ৫০ থেকে ৬০ টাকা মূল্যে। প্রথম অবস্তায় ৮৫ হাজার টাকার করলা বিক্রি করেছেন কৃষক শপিক মিয়া। একর প্রতি হাইব্রিড করলা টিয়া সুপার উৎপাদন হয় ১২ থেকে ১৪ টন।

সবজি চাষে সফল কৃষক শপিক মিয়া জানান, এই প্রথম পরীক্ষা মূলকভাবে চাষ করেছি টিয়া সুপার জাতের করলা। চাষে সফলতা পেয়েছি। আর বাজারে করলার চাহিদাও ভালো। পাইকার এবং স্থানীয়রা সবজি খেত থেকে করলা ক্রয় করে নিচ্ছেন। বাণিজ্যিকভাবে হাইব্রিড করলা টিয়া সুপার চাষ লাভ জনক। পরবর্তীতে আরো এক লক্ষ টাকার উপরে করলা বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান তিনি।

এখানকার স্থানীয় কৃষক রজত দেব, ইমন মিয়া, কাদির মিয়া সহ অনেকেই জানালেন, শপিক মিয়া হাইব্রিড করলা চাষ শুরু করার দেড় মাস সময়ে চাষে সফল হয়েছেন। তাঁর চাষ দেখে আমাদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ তৈরি হয়েছে। তার এ সফলতা দেখে গ্রামের অনেকেই এই জাতটি চাষ করার পরিকল্পনা করছে।

শ্রীমঙ্গল কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহদত আহমেদ বাবুল জানান, টিয়া সুপার করলা খুব ভালো জাতের একটা বীজ। ফলের ওজন ভালো। এই জাতের বীজ ব্যবহার করলে কৃষক লাভবান হবে বেশি।

সিন্ধুরখান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়াছিন আরাফাত রবিন বলেন, কৃষি নির্ভর গ্রাম বনগাঁও। তবে এখানে পানির সংকটের কারণে অনেক কৃষি জমিতে ফলন হচ্ছেনা। তাই এখানে দ্রæত সেচের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি আহবান জানান তিনি।

হাইব্রিড করলা টিয়া সুপার বীজ এর উৎস প্রতিষ্ঠান লাল তীর সীড লিমিটেড এর বিভাগীয় ব্যবস্থাপক তাপস চক্রবর্তী জানান, হাইব্রিড করলা টিয়া সুপার এদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ুতে সহনশীল। সারা বছর চাষযোগ্য হাইব্রিড জাত। দেখতে আকর্ষণীয় সবুজ এবং খেথে মধ্যম তিক্ততা, নরম ও সুস্বাদু। সেচও নিষ্কাশনের সুবিধাযুক্ত উঁচু দোআঁশ মাটিতে টিয়া সুপার ফলন ভালো হয়ে থাকে। কৃষকদের জন্য অনেকটাই আর্থিকভাবে লাভজনক।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ভানু লাল রায় জানান, আমরা যারা ক্রেতা বাজার থেকে একটা সবজি ৫০ টাকা কেজিতে ক্রয় করি, কিন্তু এই সবজি একজন কৃষক ৩০ টাকা কেজিতেও বিক্রি করতে পারেন না। তাই কৃষদের নায্য মূল্য পেতে হলে বাজার মনিটরিংটা প্রয়োজন। তাই আমরা সবাই মিলে বাজার মনিটরিং করার চেষ্টা করছি।

শপিক মিয়ার মত অন্যান্য কৃষকরাও যেন তাদের অনেক অনাবাদি, খালি পড়ে থাকা জমিতে সবজি চাষ বৃদ্ধি করেন। এ অ লে সবজি চাষ বৃদ্ধি এবং নতুন নতুন জাতের সবজির প্রসার ঘটাতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি বলে জানান বিভাগীয় ব্যবস্থাপক তাপস চক্রবর্তী।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com