মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২১ অপরাহ্ন
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ১১তম দিনে গড়িয়েছে। এখনো দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনার পর দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খোদ রাশিয়ায় চলছে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ।
তবে এরই মধ্যে বিক্ষোভ দমনে পদক্ষেপ নিয়েছে পুতিন প্রশাসন। জানা গেছে, আজ (৬ মার্চ) রবিবার দেশটির ৩৫টি শহর থেকে এক হাজার একশ নাগরিককে আটক করা হয়েছে। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
রাশিয়ার একটি পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী জানায়, প্রশান্ত মহাসাগরীয় বন্দর ভ্লাদিভোস্টক ও সাইবেরিয়ান ইরকুটস্কসহ বিভিন্ন শহর থেকে বিক্ষোভকারীদের আটক করা হয়।
তাছাড়া অন্যান্য শহরে চলমান বিক্ষোভের অনেক ভিডিও পোস্ট করেছেন দেশটির বিরোধী অধিকারকর্মীরা। এ নিয়ে রাশিয়ায় মোট আটকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয় হাজার চারশ ৭২ জনে।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ উত্তাল হয়ে উঠেছে রাশিয়া। তবে প্রতিবাদীদের মুখ বন্ধ করতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে পুতিন প্রশাসন। আক্রমণ ও বিক্ষোভের প্রথম দিনই গ্রেফতার করা হয় অন্তত এক হাজার ৭০০ জনকে।
গত (২৪ ফেব্রুয়ারি) বৃহস্পতিবার ভোরে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। এর পরপরই রাস্তায় নেমে আসেন প্রতিবাদীরা। ওই দিন মস্কোতেই আটক করা হয় অন্তত ৯৫৭ বিক্ষোভকারীকে।
এদিকে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৮৮ বিমান ও হেলিকপ্টার হারিয়েছে রাশিয়া।
এছাড়া বেশ কয়েকজন রাশিয়ান পাইলটকেও আটক করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মারিউপোলে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী রুশ সৈন্যদের সঙ্গে লড়াই অব্যাহত রেখেছে।