বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।

“অসাধু মধ্যস্বত্বভোগীচক্রে” কাঁদছে লবণ চাষিরা কক্সবাজারের চকরিয়ায়

মোঃ সেলিম উদ্দিন খাঁন বিশেষ প্রতিনিধি

এক কেজি লবণের উৎপাদন খরচ ৮ টাকা ৭৫ পযসা। চাষিরা বিক্রি করছেন ৬ টাকায়। মধ্যস্বত্বভোগীর কাছ থেকে মিলার কিনছেন সাড়ে ৮ টাকায়। প্রক্রিয়ার পর উৎপাদন খরচ দাঁড়ায় ২৪-২৫ টাকা। বাজারে খুচরা বেঁচা হয় ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। অথচ গত বছর চাষি লবণ বিক্রি করেছেন ১০ টাকা কেজিতে।

এ বছর দাম কমার পেছনে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
প্রতিবছর ডিসেম্বরে শুরু হয় লবণ আহরণ। আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে তা চলে এপ্রিল পর্যন্ত। এবার মৌসুমের শুরু থেকে দাম কমে যাওয়ায় লোকসানে পড়েছেন চাষিরা। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) কক্সবাজারের পরিদর্শক ইদ্রিস আলী জানান, দেশে পরিশোধিত লবণের চাহিদা রয়েছে প্রায় ২৫ লাখ টন। এ বছর অপরিশোধিত লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২৬ লাখ ১০ হাজার টন। এদিকে চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদন হলেও মাঝেমধ্যে বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় লবণ। গত বছর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ২৬৪টি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টন লবণ আমদানির অনুমোদন দেয়। অথচ গত বছর উৎপাদিত চার লাখ টন লবণ গুদামজাত করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশে চাহিদার অর্ধেক লবণ গৃহস্থালি ও খাবার তৈরিতে ব্যবহার হয়ে থাকে। অবশিষ্ট লবণ চামড়া প্রক্রিয়াকরণ, টেক্সটাইল, কাগজ, সাবান, ডিটারজেন্ট ও রাসায়নিক দ্রব্য তৈরির কাজে লাগে।
চাষি, ব্যবসায়ী ও বিসিক সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে মাঠ পর্যায়ে লবণ সংগ্রহ করে বিভিন্ন মিলকারখানা মালিকের কাছে বেঁচে মধ্যস্বত্বভোগীরা। মিল মালিকদের প্রতিনিধিরাও বিভিন্ন এলাকা থেকে লবণ সংগ্রহ করে। মূলত এই মধ্যস্বত্বভোগীরা সিন্ডিকেট করে লবণের দাম বাড়ায়-কমায়। আবার তাদের নিয়ন্ত্রণ করে থাকে লবণ বাজারজাতকারী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বড় মাপের মিল মালিকরা। দুই পক্ষের মর্জির ওপর নির্ভর করে মাঠ পর্যায়ে লবণের দাম কত পড়বে। তাদের কবলে পড়ে ক্ষতির শিকার হন চাষিরা।

চকরিয়ার রামপুরের চাষি মৌলভি মো. সেলিম জানান, আগে ভালো দাম পাওয়ায় তিনি এবার গত বছরের চেয়ে বড় পরিসরে লবণ চাষ করেন। কিন্তু বেঁচতে গিয়ে রীতিমতো কিংকর্তব্যবিমূঢ়। মৌলভি সেলিম আরো বলেন, ‘মধ্যস্বত্বভোগী ও মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে এবার লবণের দরপতন ঘটিয়েছেন।

তারা আমাদের পেটে লাথি দিয়ে পকেট ভারি করছেন। তাই কিছু লবণ আহরণের পর বন্ধ করে দিয়েছি। লাভ না হোক, এত লোকসান দিলে কীভাবে চলবে? আমার মতো অন্য চাষিরা লবণ আহরণ কমিয়ে দিয়েছেন। ঋণ পরিশোধে বাধ্য হয়ে কেউ কেউ আহরণ করছেন।’

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com