মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
লোহাগাড়ায় অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে একজনের ছয় মাসের কারাদণ্ড ড্যাম্পার,ওএক্সক্যাভেটর জব্দ চট্টগ্রামে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত ৪ ১৫ জুন থেকে একাদশে ভর্তি, ক্লাস শুরু ১ জুলাই সচিব হলেন নজরুল ইসলাম, বান্দরবানে নতুন ডিসি রিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠিত হবে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অধীনে চকরিয়ায়- কিশোরীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ এইচএমপিভি ভাইরাসে ভারতে আক্রান্ত ২ শিশু  পাঁচলাইশে রোষের মুখে ‘ওসি’ নেজাম, শার্ট ছিঁড়ে ফেলল নেতাকর্মীরা: গুম-বিচার বহির্ভূত হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাতকানিয়ায় পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংস: ভূমিধসের ঝুঁকি বৃদ্ধি:

মোঃ সেলিম উদ্দিন খাঁন বিশেষ প্রতিনিধি;

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার এঁওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা চূড়ামণি এলাকায় পাহাড় কাটার ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এই অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করার পাশাপাশি ভূমিধস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছু অসাধু ব্যক্তি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে পাহাড় কাটার মতো পরিবেশ বিধ্বংসী কাজ পরিচালনা করছে।

এসব কাজে ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে, যা এলাকার জীববৈচিত্র্য এবং ভূমির স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

প্রভাব ও আশঙ্কা পাহাড় কাটা শুধু প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি করছে না, এটি স্থানীয় মানুষের জীবন ও সম্পদের জন্য বড় ধরনের হুমকি তৈরি করছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পাহাড় কেটে ফেলার ফলে ভূমিধস, বন্যা, এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা বাড়তে পারে। একইসঙ্গে, এটি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব ত্বরান্বিত করে।

পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) অনুযায়ী পাহাড় কাটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আমরা চাই এই ধরনের পরিবেশবিধ্বংসী কার্যক্রম বন্ধ করা হোক। প্রশাসন যদি এখনই ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ বিপদের মুখে পড়বে।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কার্যালয়কে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

পরিবেশ রক্ষায় স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরার মাধ্যমে বৃহত্তর জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যেতে পারে।

এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা, তা এখন দেখার বিষয়। তবে এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে এই ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে পাহাড় সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হোক।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com