মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন
মোঃ সেলিম উদ্দিন খাঁন বিশেষ প্রতিনিধি;
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার এঁওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা চূড়ামণি এলাকায় পাহাড় কাটার ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করার পাশাপাশি ভূমিধস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছু অসাধু ব্যক্তি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে পাহাড় কাটার মতো পরিবেশ বিধ্বংসী কাজ পরিচালনা করছে।
এসব কাজে ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে, যা এলাকার জীববৈচিত্র্য এবং ভূমির স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
প্রভাব ও আশঙ্কা পাহাড় কাটা শুধু প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি করছে না, এটি স্থানীয় মানুষের জীবন ও সম্পদের জন্য বড় ধরনের হুমকি তৈরি করছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পাহাড় কেটে ফেলার ফলে ভূমিধস, বন্যা, এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা বাড়তে পারে। একইসঙ্গে, এটি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব ত্বরান্বিত করে।
পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) অনুযায়ী পাহাড় কাটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আমরা চাই এই ধরনের পরিবেশবিধ্বংসী কার্যক্রম বন্ধ করা হোক। প্রশাসন যদি এখনই ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ বিপদের মুখে পড়বে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কার্যালয়কে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
পরিবেশ রক্ষায় স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরার মাধ্যমে বৃহত্তর জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যেতে পারে।
এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা, তা এখন দেখার বিষয়। তবে এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে এই ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে পাহাড় সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হোক।