শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:০৬ অপরাহ্ন
মোঃ সেলিম উদ্দিন খাঁন বিশেষ প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের টেকনাফে ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে আবারো ৮ জনকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। টেকনাফের হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়ক থেকে দুইটি সিএনজির চালকসহ ৭ জনকে নিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে অপহৃত ৭ জনের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে সাড়ে ৭ টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং -শামলাপুর সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
শামলাপুর সিএনজি অটোরিকশার লাইনম্যান আব্দুর রহিম জানান, মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৮ টার দিকে হোয়াইক্যং থেকে আসা শামলাপুরগামী দু’টি সিএনজি (অটোরিকশা) হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কের ঢালা থেকে ডাকাতদলের সদস্যরা সিএনজি চালকসহ আনুমানিক ৭ জনকে অপহরণ করেছে বলে জানা গেছে। ডাকাতদল সিএনজি ( অটোরিকশা’র) দুটির গ্লাস ভেঙে দেয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বলে তিনি জানান। তবে অপহৃতদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।
অন্যদিকে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের বড় ডেইল এলাকার মুদির দোকানদার জসিম উদ্দিনকে ২০-২৫ জনের অস্ত্রধারী ডাকাতদল তার দোকান থেকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ছৈয়দ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দোকান থেকে ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন অস্ত্রের মুখে রাতে তুলে নিয়ে যায়, এখনো হদিস মিলেনি।
এদিকে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পরিদর্শক) শোভন কুমার শাহা বলেন, ”হোয়াইক্যং- শামলাপুর সড়কে দুইটি সিএনজি (অটোরিকশা) থেকে চালকসহ যাত্রী অপহরণের ঘটনা শুনে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অপহৃতদের উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছি। কতজনকে অপহরণ করা হয়েছে সেটার সঠিক তথ্য এখনো জানা যায়নি।তবে ঘটনাস্থল থেকে সিএনজি দুইটি উদ্ধার করা হয়েছে।”
এর আগে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে টেকনাফের জাদিমুড়া পাহাড়ে বন বিভাগের কাজ করতে গিয়ে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় শ্রমিকসহ ১৯ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন।এখনো তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অপহৃত সবার কাছ থেকে ১ লাখ করে মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অপহৃতদের পরিবার।
এদিকে সকাল থেকে পুলিশ, র্যাব ও বনবিভাগের কর্মীরাসহ হ্নীলার রঙ্গিখালী হয়ে অপহৃতদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।