সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৭ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি সেলিম উদ্দিন খান:
আইনজীবী সাইফুল হত্যাকাণ্ড তদন্তে পুলিশের প্রাথমিক ব্যর্থতার কারণে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) দক্ষিণ জোনের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ লিয়াকত আলী খানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার স্থলে বন্দর জোনের ডিসি শাকিলা সোলতানাকে পদায়ন করা হয়েছে।এ ছাড়া সিএমপি দক্ষিণ জোনের অধীনে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফজলুল কাদের চৌধুরীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার স্থলে সিএমপির বিশেষ শাখায় কর্মরত পরিদর্শক মো. আবদুল করিমকে পদায়ন করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) তাদের পৃথক বদলি আদেশে সই করেন সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ। এদিন পর্যন্ত ৩০ জনের অধিক লোককে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছে পুলিশ। কিন্তু তাদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত কারা এবং তাদের ভূমিকা কী ছিল তা স্পষ্ট করতে পারেনি পুলিশ। অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বিষয়টি নজরদারি করা হয়।
এদিকে, বুধবারের মতো বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম আদালতের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। সহকর্মী হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম আদালতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে আইনজীবী নেতারা।তারা অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সকাল থেকে নীরব ছিল। তাদের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়ে ইসকনের অনুসারীরা অ্যাডভোকেট সাইফুলকে নির্মমভাবে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে হত্যা করে। ঘটনার পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিলে এত বড় ঘটনা হত না। এটি পুলিশের ব্যর্থতা।সিএমপি কমিশনারকে আল্টিমেটাম দিয়ে আইনজীবী নেতারা বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলের খুনিদের গ্রেপ্তার করা না হলে আপনি পদে থাকতে পারবেন না। প্রসঙ্গত, গত সোমবার বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা চিম্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে পরদিন (মঙ্গলবার) কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মহানগর ষষ্ঠ কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হাজির করে। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।এ নিয়ে বিক্ষোভ করে ইসকন অনুসারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে আদালত এলাকায় মসজিদ-দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এ সময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। একপর্যায়ে বিকেলে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম কনভেনশন হলের গলিতে একদল ইসকন অনুসারীর হাতে খুন হন অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম।