মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৬ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
চেয়ারম্যান: মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ হলো ভারতে’র ত্রিপুরা রাজ্যের সব’হোটেল’ দেশে-কেমন পুলিশ চাই’ জনমত জরিপের ফলাফল প্রকাশ: চিন্ময়ের পক্ষে দাঁড়াননি কোনো আইনজীবী, জামিন শুনানি ২ জানুয়ারি: প্রেসক্লাব নিয়ে ষড়যন্ত্রকারী ফ্যাসিবাদের দোসরদের রেহাই নাই :কচি এক ট্রাক মাটি ৩হাজারে বিক্রি হচ্ছে-ঈদগাঁওয়ে চলছে দিনে-রাতেই চলছে পাহাড়-টিলা কাটার মহোৎসব: দুই মাসের মধ্যে ভোটার তালিকার খসড়া চূড়ান্ত নির্বাচন কমিশনার -আবুল ফজল আনোয়ারায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে দেশীয় মদসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক চট্টগ্রামে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে প্রতিদিন ৩ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ মহেশখালীতে-থ্রি-জি রাইফেলসহ ৪টি অস্ত্র-গুলি উদ্ধার অভিযানে গ্রেপ্তার ১ সাতকানিয়ায় জিনের বাদশার সহযোগী গ্রেফতার- বিজ্ঞ আদালতে-১৬৪ ধারায় জবানবন্দি

ইলিশ জাতীয় মাছ হয় কি করে?যে মাছ একটা দরীদ্র পরিবার কেনার ক্ষমতা রাখেনা-এত দাম কখনো দেখিনি’চট্টগ্রামের মানুষ

মোঃ সেলিম উদ্দিন খাঁন বিশেষ প্রতিনিধি

বাংলাদেশে যে পরিমাণ ইলিশ মাছ ধরা হয় আর কোনো মাছ এতো চাষও হয় না। এমনকি কমদামি পাঙ্গাস মাছ আর তেলাপিয়াও না। কিন্তু তারপরও ইলিশ মাছ আমাদের মতো মধ্যম শ্রেণীর মানুষ খেতে পারি না।

কারন ৯০% ইলিশ মাছ বাহিরের দেশে চলে যায়।এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২১০০ টাকায়। গত শনিবার রাত থেকে ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। সে হিসেবে ইলিশের বাজার ছড়া ।

কেননা ইলিশ ধরা ও বিক্রি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগের দিনগুলোতে বেড়ে যায় জেলে, বিক্রেতা এবং ক্রেতাদের তোড়জোড়। তবে শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ কর্ণফুলী মার্কেট আগ্রাবাদের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। বাজারে ইলিশের সরবরাহ বেশ কম।

যদিও চাহিদা ভালোই ছিল এবং বাজারে ক্রেতাও দেখা গেছে অনেক। মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগে বাজারে ইলিশের যথেষ্ট চাহিদা থাকলেও সরবরাহ অনেক কম। এ কারণে দাম বেশি হওয়ায়, ক্রেতাদের অনেকেই ইলিশ না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন।

রিয়াজউদ্দিন বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী মুহিবুল্লাহ সঙ্গে দেখা হয় মাছ বাজারে। ইলিশ মাছ কিনতে এসেছিলেন। ভেবেছিলেন এই সময়ে এসে ইলিশের দাম কিছুটা কমে আসবে। কিন্তু তিনিও হতাশ।

তিনি দ্য ডেইলি রূপবানণী- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি মোঃ সেলিম উদ্দিন খাঁন কে বলেন, ‘এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম বেশ কিছুদিন ধরে ১৬০০-১৭০০ টাকা ছিল। তাই এতদিন কিনিনি।

মাছ ব্যবসায়ীরা বলছে, ভারতে রপ্তানি আর নিষেধাজ্ঞা কারণে দাম বাড়তি। কিন্তু আজ বাজারে এসে দেখি ওই মাছের দামই এখন ২ হাজার ১০০ টাকা কেজি।’ রিয়াজউদ্দিন বাজারের এক ব্যবসায়ীরা বলছেন, জেলেরা নদীতে নিষেধাজ্ঞা কারণে মাছ ধরতে যাচ্ছেন না।

আনকৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে জেলেরা কিছু মাছ বাজারে নিয়ে আসে তাও ছোট মাছ বেশি, তাও দাম বেশি। ৫০০ গ্রামের ছোট ইলিশের দামও এখন ১১০০-১২০০ টাকা কেজি। আর ১৫০-২০০ গ্রামের ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা।একজন গার্মেন্টস কর্মী জেসমিন আক্তার বলেন, ‘প্রতিদিনই বাজারে আসি।

এতদিন ইলিশ কেনা হয়নি দাম বেশি ছিল বলে। এতদিন অপেক্ষা করে কী লাভ হলো? এখনো তো দাম বেশি। দুই দিনে কেজিতে দাম বেড়েছে ৪০০ টাকা।’ ফিশারি ঘাট মাছ আড়তের কর্মচারী নাম বলতে অনিচ্ছুক গত ২৫ বছর ধরে মাছ কেনাবেচা করেন। কিন্তু এবারের মতো ইলিশের এত দাম তিনি দেখেননি।

এডভোকেট ইলিয়াস বলেন, ‘ইলিশের এত দাম কখনো দেখিনি। এক কেজি ওজনের ইলিশ ২০০০ টাকা কেজি দরে কিনে ১০০ টাকা লাভে বিক্রি করছি। বেশিরভাগ ক্রেতাই দাম শুনে হতাশ হয়ে চলে যাচ্ছেন।

”দাম বেশি হওয়ায় আমরাও ইলিশ উঠাচ্ছি কম। এক ব্যবসায়ী জানান, দেড় কেজি ওজনের ইলিশের দাম ২ হাজার ৬০০ টাকা কেজি। ছোট ইলিশের তুলনায় বড় ইলিশের ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতা বেশি।

বড় ইলিশ বিক্রি করতে তাদের সমস্যা হচ্ছে না।প্রজনন মৌসুম শুরু হওয়ায় গত শনিবার রাত থেকে ইলিশ আহরণ, বিক্রি ও বিপণনে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com