শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৫ অপরাহ্ন
মোঃ সেলিম উদ্দিন খাঁনচ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীতে নতুন সেতু নির্মাণ কার্যক্রমের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় আর যেন কালক্ষেপণ না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদ।
একই সঙ্গে একনেকে প্রকল্প অনুমোদন দেওয়ায় তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা। ৭ অক্টোবর গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে এ অনুরোধ জানান সংগঠনের আহ্বায়ক মো. আব্দুল মোমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক মুস্তফা নঈম এবং সদস্য সচিব রমেন দাশগুপ্ত।
বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, অনাকাঙ্খিত কোনো বাধাবিঘ্ন, বিলম্ব সৃষ্টি না হয়, সেতু বাস্তবায়নের কার্যক্রমে সৃষ্ট প্রত্যাশিত গতি যেন বহাল থাকে, দরপত্রসহ আনুষাঙ্গিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই যেন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
বোয়ালখালী-পটিয়াসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের মধ্যে যে প্রাণসঞ্চার হয়েছে, মানুষ যেভাবে আশায় বুক বেঁধেছে, অনাকাঙ্খিত জটিলতা কিংবা কালক্ষেপণের কারণে সেটি যেন চরম হতাশায় পরিণত না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রেখে সজাগ থাকার জন্য আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রধান উপদেষ্টা এবং রেলপথ উপদেষ্টা, উভয়ে চট্টগ্রামের সুযোগ্য সন্তান, সেতু নির্মাণের প্রাকপ্রক্রিয়ায় আমরা তাঁদের আন্তরিক নজরদারি প্রত্যাশা করছি।
বোয়ালখালী-পটিয়াসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের প্রাণের দাবি কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর রেল কাম সড়ক সেতু নির্মাণ।
সোমবার সেতু নির্মাণে আশা জাগানিয়া একটি অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করে পরিষদ নেতারা বলেন, জাতির সূর্যসন্তান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার দুই মাসের মধ্যে সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের আকাঙ্খা বাস্তবে রূপ পেয়েছে।
অন্তঃত চার দশক আগে থেকে এ অঞ্চলের মানুষ কালুরঘাটে নতুন সেতু নির্মাণের আকুতি জানিয়ে আসছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৯১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনে, প্রতিটি স্থানীয় নির্বাচনে কালুরঘাট সেতুর বিষয়টি প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতিতে সেতুর বিষয়টি প্রাধান্য পেয়ে আসছে।
২০১৪ সালের শুরুতে দলমত নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকদের নিয়ে গঠন করা হয় ‘বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদ, চট্টগ্রাম।’এর মধ্য দিয়েই সেতুর দাবি প্রথম জনসম্মুখে আসে এবং সেটি গণদাবিতে পরিণত হয়।
সেতুর দাবি গণদাবি হলেও চার দশক ধরে সেটি বরাবর উপেক্ষার শিকার হয়েছে। আবার কখনও আলোর পথে গেলেও গতি ছিল খুবই মন্থর।
এমনটা জানিয়ে সেতু বাস্তবায়ন পরিষদ নেতৃবৃন্দ বলেন, অর্থায়নসহ নানা জটিলতায় বারবার আটকে থেকেছে প্রাণের এই দাবি। যে কারণে দশকের পর দশক ধরে অপেক্ষায় থেকে মানুষকে হতাশ হতে হয়েছে।
কিন্তু দেশ-জাতির বহু আকাঙ্খিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার দুই মাসের মধ্যে যে গতিতে সেতুটি একনেকে অনুমোদন হল, তাতে প্রধান উপদেষ্টা, রেলপথ উপদেষ্টার প্রতি আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। সরকারের নীতিনির্ধারকদের কর্মতৎপরতায় চট্টগ্রামবাসী আশার আলো দেখছে।’