শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৫ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
চেয়ারম্যান: মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
আন্ত:জেলা ডাকাত চক্রের ২ সদস্য লোহাগড়া থানা পুলিশের হাতে আটক কোতোয়ালি থানার একটি অভিযানিক টিম দেশে-খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ ছুঁইছুঁই, বেড়েছে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতিও: ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের হাইকমিশনে হামলা ও জাতীয় পতাকা অবমাননার দক্ষিণ জেলা এলডিপি সভাপতির নিন্দা মামলায় নাম থাকলেই ঢালাও গ্রেপ্তার নয়: আইজিপি বাবাকে না পেয়ে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোসেই শিক্ষার্থীর জামিন: আইনজীবী সাইফুল হত্যার প্রধান আসামি ভৈরব রেলস্টেশন হইতে চন্দন গ্রেফতার ভূঞাপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে মতবিনিময় সভা সাংবাদিকদের চেয়ে আইনের হাত লম্বা : চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে‌ অ্যাটর্নি জেনারেল: সিএমপিতে “ছিন্নমূল শিশু ও কিশোর অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার” বিষয়ক দিনব্যাপী সেমিনার অনুষ্ঠিত

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা-ধরলার পানি, পানিবন্দি ১৫ হাজার মানুষ

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামে তিস্তা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা নদীসহ ১৬টি নদীর পানি বেড়েই চলেছে। এরমধ্যে ধরলা ও তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তিন উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ১৫ হাজারের বেশি মানুষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেল ৩টা পর্যন্ত ফুলবাড়ি উপজেলার তালুকশিমুল শেখ হাসিনা দ্বিতীয় ধরলা সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ও কাউনিয়া রেল সেতু পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। বন্যার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে ব্যাপক ভাঙন।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্যমতে, নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ভেঙে পড়েছে এসব এলাকার যোগাযোগব্যবস্থা। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন সড়ক। ডুবে গেছে সবজিসহ বিভিন্ন উঠতি ফসলের ক্ষেত।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, পানি বাড়ার কারণে বিভিন্ন জায়গায় প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় ৫-৬টি পয়েন্টে ভাঙন চলছে। সেখানে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করা হচ্ছে। তবে স্বল্পমেয়াদি এই বন্যা পরিস্থিতি দু-একদিনের মধ্যে উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

শুলকুর বাজার এলাকার কৃষক রাজু আহমেদ বলেন, ‘বন্যায় পটোল ক্ষেতে পানি উঠেছে। ধানক্ষেত তলিয়ে যাচ্ছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে চলাফেরা করতে সমস্যা হচ্ছে। এভাবে পানি বাড়লে ঘরের মধ্যে বানের পানি চলে আসবে।’

চরের বাসিন্দা মারুফা বেগম বলেন, ‘পরশু রাত ৩টার দিকে বাড়ির চারদিকে পানি চলে আসে। ওই রাতে আশপাশের লোক ডেকে চারটা ঘর সরিয়ে খোলা মাঠে রেখেছি। বন্যার সময়টা আমাদের কষ্টের সীমা থাকে না।’

কুড়িগ্রাম কৃষি বিভাগের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, চলতি বন্যায় জেলায় ৪৫৩ হেক্টর ফসলি জমি নিমজ্জিত হয়েছে। এরমধ্যে মরিচ, আউশ ধান, পাট, পটোলসহ অন্যান্য ফসল রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, জেলার ওপর দিয়ে ১৬টি নদী প্রবাহমান। এরমধ্যে ধরলা ও তিস্তার দুটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। ফলে রাজারহাট, নাগেশ্বরী ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নিচু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সহায়তা হিসেবে উপজেলা পর্যায়ে ১৪৪ টন চাল ও নগদ ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ত্রাণ হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ৪০৪টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে দুর্গত মানুষ আশ্রয় নেওয়া শুরু করেছেন।

আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বন্যার্তদের উদ্ধারে চারটি স্পিডবোট ও দুটি নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।বৃহস্পতিবার যাত্রাপুর ও পাঁচগাছি ইউনিয়নের বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. হামিদুল হক খন্দকার।

তিনি বলেন, বন্যার্তদের সহায়তা দিতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নদীভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com