শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি,সেলিম উদ্দিন
চট্টগ্রামে অলংকারের টিআইর বিরুদ্ধে ১৫১ ব্যবসা প্রতিষ্টানে চাঁদাবাজির অভিযোগ বাস ট্টাক, পিক-আপ,লংবেহিক্যাল,ডাম্প ট্টাক, ম্যাক্সিমা,ফুটপাত,কাউন্টার এমনকি অবৈধ অটো রিকশা কেউ বাদ যান না।মাসিক চাঁদা ওঠে প্রায় আট লাখ টাকা।
কেউ দেখেনা কেউনা শুনেনা –
চাঁদাবজির নিষ্ঠুর গানে।
আইনের শিকল পায়না ওদের
যখন ইচ্ছা তখন ছিনে ।
“এটি ডিজিটাল বাংলাদেশের ডিজিটাল চান্দাবাজি”
অভিযোগ উঠেছে ১৫১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মাসিক চাঁদা আদায় করার অভিযোগ টিআইর বিরুদ্ধে। পাহাড়তলী থানাধীন অলংকার মোড়, সাগরিকা মোড়, বিটাক, সাগরিকা ও পাহাড়তলী মোড়ে গাড়ি চালাতে হলে টিআই অমল কে চাঁদা দিতে হবেই।
এটাই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।চাঁদাবাজির গুরুতর অভিযোগ অলংকার টিআই অমল বিরুদ্ধে। ব্যবসায়ীদের তথ্যে ও প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে জানা যায় অলংকার ও আশেপাশে প্রতিমাসে প্রায় আট লাখ টাকা চাঁদা তোলা হচ্ছে।
সেখানকার ১৫১ জন ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্টান ও ফুটপাতে শতশত অবৈধ দোকান বাস কাউন্টার মুচি,জুতার দোকানদার কেউই বাদ যান না চাঁদাবাজি থেকে। চাঁদার হার ভিন্ন ভিন্ন। কেউ দেড় ২ হাজার টাকা, কারো কাছ থেকে নেয়া হয় দশ হাজার টাকা।
চাঁদাবাজির শিকার ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্টানের তালিকা ধরে কয়েকজনের সাথে প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হলে তারা স্বীকার করেন বাধ্য হয়েই টিআই অমল কে চাঁদা দিতে হয়। গাড়ির সকল কাগজপত্র আপডেট থাকলেও ট্যু করে ডাম্পিং পাঠায়।
চাঁদা না দিলে সার্জেন্ট দিয়ে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে জব্দ দেখানো হচ্ছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক সার্জেন্ট বলেন,টিআই অমল স্যারের নির্দেশনা না মানলে অল্প সময়ের মধ্যেই বদলি হতে হয়।উপরস্থ এক পুলিশ কর্মকর্তা তার সকল অপকর্মের দামাচাপা দেয়।
ম্যাক্সিমার মালিক নজরুল বলেন, টিআই অমল কে মাসিক চাঁদা না দেয়ায় আমার একটা ম্যাক্সিমা গাড়িকে এক সপ্তাহে তিনবার ট্যু করে ক্ষমতা দেখিয়েছে।অথচ আমার গাড়ির সকল কাগজপত্র আপডেট।টিআই অমলেন্দুর ক্যাশিয়ার লিটনকে চারশত টাকা দেয়ার পরও গাড়ি ট্যু করেছে।লিটন স্বীকার করে টাকা ফেরত দিতে চেয়েছে। চাঁদা দিলে কাগজপত্র না থাকলেও কোন সার্জেন্ট ধরে না।কিন্তু অমলেন্দুর মাসিক চাঁদা দিতে দেরি হলেই ট্যু এর খড় নেমে আসে।
চট্টগ্রাম নগরীর কয়েকশত ডাম্প ট্রাক লং বেহিক্যাল হতে কয়েক লাখ টাকা চাঁদা তোলা হচ্ছে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ডাম্প ট্রাক ও লং বেহিক্যাল মালিক বলেন, টিআই অমল বিকাশ নং ও নগদে চাঁদা দিতে হচ্ছে। টিআই অমল নিজে,তার ছেলের ও ক্যাশিয়ার লিটনের বিকাশ নং এ এই চাঁদা তোলেন। ব্যবসায়ীদের তালিকা ও বিকাশ লেনদেনের তথ্য।
মনে মনে ভাবি দেশটা কী শেষ পর্যন্ত দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ ও দখলদারদের ইচ্ছা মাফিক চলবে, নাকি দেশের প্রচলিত আইন দিয়ে চলবে?