সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:০৪ পূর্বাহ্ন
মোঃ সেলিম উদ্দিন খান, বিশেষ প্রতিনিধি
কথিত ভোটারের ভুয়া স্বাক্ষরসহ গুরুতর সব ‘গরমিলে’ চট্টগ্রাম- ১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মোতালেবের মনোনয়নপত্রকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
একই কারণে ওই আসনে অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী আ ম ম মিনহাজুর রহমানের মনোনয়নও বাতিল হয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাচাই-বাছাই শেষে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চাইলে নির্বাচনী আসনের মোট ভোটারের ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিতে হয়।
কিন্তু চট্টগ্রামের রিটার্নিং অফিসার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই করে এক শতাংশ সমর্থনকারী ভোটার তালিকায় গরমিল পাওয়া গেছে এমএ মোতালেব ও আ ম ম মিনহাজুর রহমানের জমা দেওয়া মনোনয়নপত্রে। এই অভিযোগে তাদের দুজনেরই মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়সূত্রে জানা গেছে, তালিকায় নাম ও কথিত স্বাক্ষর দেওয়া অনেক ভোটার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ করেছেন, তাদের সম্মতি ছাড়াই নাম ও স্বাক্ষর জুড়ে দেওয়া হয়েছে মোতালেব ও মিনহাজুর রহমানের জমা দেওয়া মনোনয়নপত্রে।
এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে দৈবচয়ন পদ্ধতিতে ওই দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর জমা দেওয়া ভোটারের স্বাক্ষর যাচাই করা হয়। সেখানেও অনেক ভোটারের স্বাক্ষর ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া-লোহাগাড়া উপজেলায় দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করে এলাকায় তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন বেকারিপণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান বনফুলের মালিক ও সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মোতালেব।
তার বিরুদ্ধে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ায় পৃথকভাবে ঝাড়ু মিছিল করে আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় মোতালেবের কুশপুত্তলিকাও দাহ করা হয়। দুই সমাবেশ থেকেই সাতকানিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে তাকে অব্যাহতি প্রদানের দাবি তোলা হয়।
এর আগে চট্টগ্রাম- ১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসন থেকে মনোনয়ন জমা দেন মোট ৯ জন। এরা হলেন—আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী (আওয়ামী লীগ), মোহাম্মদ ছালেম (জাতীয় পার্টি), ফজলুল হক ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), আলী হোসাইন (ইসলামী ফ্রন্ট), জসিম উদ্দিন (মুক্তিজোট), আব্দুল মোতালেব (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ হারুন (ইসলামী ঐক্যজোট – আইওজে), আ ম ম মিনহাজুর রহমান (স্বতন্ত্র) এবং সোলাইমান কাসেমী (কল্যাণ পার্টি)।