বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৩ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
চেয়ারম্যান: মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
লোহাগাড়ায় টিলা কাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান লোহাগাড়ায় যৌথ অভিযানে ধারালো অস্ত্র ও মাদকসহ আটক -৪ পেঁয়াজ-মুরগি-সবজিতে কিছুটা স্বস্তি, চলতি বছরের সর্বোচ্চ দামে আলু পপুলার লাইফ এবং অরোরা স্পেশালাইজড হসপিটালের মধ্যে স্বাস্থ্য চুক্তি সম্পাদিত সিএমপির বায়েজিদ বোস্তামী থানার অভিযান নওগাঁর মান্দায় ইজারাকৃত বিলের ৮-৯ লক্ষ্য টাকা মাছ হরিলুটের অভিযোগ চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সাংগঠকি সম্পাদক সুমন গ্রেপ্তার -হাজারি গলিতে যৌথবাহিনীর ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ নিলামে উঠছে এমপিদের শুল্কমুক্ত ৩৪ গাড়ি হত্যা, চাঁদাবাজি ও ডাকাতিসহ ১৬টি মামলার আসামি বেড়েছে মরিচের দাম, চড়া চালের বাজার মুরগির সঙ্গে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যে কোনো সময় মারা যেতে পারেন : মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যে কোনো সময় মারা যেতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা।

আজ সোমবার সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘খালেদা জিয়া মূল চিকিৎসা পাচ্ছেন না। লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে তার। আমরা যে চিকিৎসা দিচ্ছি তা তাৎক্ষণিক। জরুরিভিত্তিতে তাকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। না হলে যে কোনো সময় তিনি মারা যেতে পারেন।’

তিনি আরও জানান, লিভারের সংক্রমণের কারণে বারবার পেটে পানি চলে আসছে খালেদা জিয়ার। উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হলেও কাজ হচ্ছে না। পেট থেকে পানি হৃদযন্ত্র পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। এ জন্য ইতোমধ্যে তাকে দুইবার সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে।

চিকিৎসক এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শরীরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হওয়ায় এ পর্যন্ত ৪ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। আমাদের হাতে আর কিছু নেই, যা কিছু করার ছিল করেছি। উন্নত চিকিৎসাই একমাত্র ভরসা। দুই বছর আগে টিপস পদ্ধতিতে চিকিৎসা হলে খালেদা জিয়ার পেটে ও হৃদযন্ত্রে রক্তক্ষরণ হতো না। উনার অবস্থাও এত আশঙ্কাজনক হতো না।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে টিপস ও লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয় না। ২০০৬ ও ২০০৮ এ বারডেমে পরীক্ষামূলকভাবে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট চালু হলেও সেটি অব্যাহত রাখা যায়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন আগে পরীক্ষামূলক চালু হয়েও আবার বন্ধ হয়ে গেছে।’

ডা. সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘আমাদের হাতের সমস্ত অপশন শেষ হয়ে গেছে। আমরা ২৪ ঘণ্টা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছি। এখনো সময় শেষ হয়ে যায়নি। তাকে বিদেশে মাল্টিডিসিপ্লিনারি সেন্টারে চিকিৎসা করা হলে হয়তো অবস্থার উন্নতি হতে পারে। তার জন্য জরুরি হলো টিপস প্রসিডিউর অ্যাপ্লাই করা। এটা করা হলে পেটে একফোঁটা পানিও থাকবে না।’

ডা. মহসিন বলেন, ‘লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনের জন্য যে সেটআপ, তা এখনো বাংলাদেশে নেই। খালেদা জিয়ার মতো ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনের পেশেন্টকে বিদেশে নেওয়া ছাড়া এটা করা সম্ভব নয়।’

ডা. নূরউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পেটে পানি জমা ও ইনফেকশন হওয়া খুবই মারাত্মক একটি সমস্যা। এতে মৃত্যুঝুঁকি বেশি। এবারে আমরা ওনাকে বাসায় নিতে পারছি না। আমাদের হাতে আর কোনো চিকিৎসা নেই। এমতাবস্থায় তার মৃত্যুঝুঁকি অত্যন্ত বেশি।’

ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘যখন কোনো কলাপস হয় তখন সিসিইউতে নেওয়া হয়। সিসিইউতে যে সেটআপ আছে কেবিনে সেটা নেই। টিপস প্রসিডিউর যদি আমরা করতে পারি, তাহলে তার অবস্থার উন্নতি হতে পারে। তিনি ৯০/১০০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারেন।’

ডা. শামসুল আরেফিন বলেন, ‘তার জন্য জীবন-মৃত্যু এখন একটা খেলা। আমরা কোনো কোনো সময় হতাশ হয়ে যাই- এই বুঝি তার সময় শেষ হলো। তার জন্য জরুরি হলো বিদেশে নেওয়া। বিদেশে উন্নত চিকিৎসা হলে তার জীবনমান ভালো হবে।’

খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ বলেন, ‘এটা গবেষণার বিষয়।’ ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com