সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৭ অপরাহ্ন
বলিভিয়ার রাজধানী লাপাজ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৬২৫ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই শহরটি। স্বাভাবিকভাবেই এখানে অক্সিজেনের সমস্যা আছে। বিশেষ করে সমতলের মানুষ এই শহরে গেলে অক্সিজেন সমস্যায় ভোগেন। আর এমন পরিস্থিতিতে ফুটবল? সেটা তো প্রায় অসম্ভবই।
যে কারণে দেখা গিয়েছিল, লাপাজে গিয়ে আর্জেন্টিনার মতো দল বলিভিয়ার কাছে ৬-১ গোলে হেরে আসে। দিয়েগো ম্যারাডোনা কোচ হয়ে আর্জেন্টিনা ফুটবলের দায়িত্ব নেওয়ার পরই এই হারের (২০০৯ সালে) লজ্জায় পড়েছিল লা আলবিসেলেস্তারা।
সেই বলিভিয়ায় এবারও খেলতে যেতে হচ্ছে আর্জেন্টিনা দলকে। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় ম্যাচেই লাপাজে স্বাগতিক বলিভিয়ার বিপক্ষে খেলতে যেতে হচ্ছে আর্জেন্টাইনদের।
বুধবার ভোরে (বাংলাদেশ সময়) বলিভিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। এরই মধ্যে এই ম্যাচটি খেলার জন্য লাপাজে গিয়ে হাজির হয়েছেন লিওনেল মেসিরা।
তবে বলিভিয়ার রাজধানী শহরে গিয়েই তারা পড়েছেন অক্সিজেন সমস্যায়। যে কারণে, আর্জেন্টিনার প্রতিটি খেলোয়াড়কে দেওয়া হয়েছে একটি করে অক্সিজেন টিউব।
লাপাজ পৌঁছার পর অনুশীলন করতে গিয়েই মূলত অক্সিজেন শূন্যতায় ভুগতে শুরু করেন আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে দ্রুত তাদের অক্সিজেন টিউব সরবরাহ করা হয়।
যে মাঠে খেলা হবে, সেই এস্টাডিও হার্নান্দো সাইলসের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৬৩৭ মিটার। এত উঁচুতে খেলতে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়তে হতে পারে মেসিদের।
লিভারপুল মিডফিল্ডার অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার অক্সিজেন কিউট নিজের মুখের ওপর ধরে রেখেছেন- এমন একটি ছবি পোস্ট করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। একই সময়ে ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো টিম বাসে যাওয়ার সময় হাতে ধরে রাখা অক্সিজেন টিউবের ছবি পোস্ট করেন।
তবে ফিফা কর্তৃক একটা সময় এই এস্টাডিও হার্নান্দো সাইলস স্টেডিয়ামকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ আয়োজনের অযোগ্য বলে ঘোষণা করেছিল। বিশেষ করে ফিফা নির্দেশ দেয়, ২৫০০ মিটার উচ্চতার বেশি কোনো স্টেডিয়ামে এ ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ আয়োজন করা যাবে না।
কিন্তু এ সিদ্ধান্তের একমাস পরই ফিফা তাদের নির্দেশনা পাল্টে উচ্চতার সীমা নির্ধারণ করে ৩০০০ মিটার করা হয়। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আগে ফিফা এস্টাডিও হার্নান্দো সাইলসকে বিশেষ অনুমতি প্রদান করে ফিফা।