শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৯ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ প্যানেল চেয়ারম্যান হাবিবের বিরুদ্ধে কক্সবাজারের পেকুয়ায় অটোরিকশা-ডাম্পার ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫ চকরিয়ায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা চকরিয়ার হারবাং- কাভার্ডভ্যান চাপায় পথচারী নিহত: জাতীয় নির্বাচন ২০২৬-শে. আ.লীগএলে কী পরিস্থিতি হবে? জানতে চান ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ঝালকাঠিতে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত সহিংসতা পরিহার করে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি বাজায় রাখার আহ্বানে মানববন্ধন চকরিয়ায় মসজিদের কমিটি নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ,আহত দুই সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় চট্টগ্রাম ১৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবেক এমপি নদভী রিমান্ডে পপুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালাতে গিয়ে পাইকগাছায় আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু সাতকানিয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের নেতাসহ তিনজন গ্রেপ্তার:

সবজিতে স্বস্তি নেই, ঝাল বেড়েছে কাঁচা মরিচের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:

রাজধানীর বাজারগুলোতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে প্রায় সব ধরনের সবজি। দুটি সবজির কেজি একশ টাকার ওপরে। কয়েকটির দাম একশ টাকার কাছাকাছি। মাত্র একটি সবজি পাওয়া যাচ্ছে ৫০ টাকার নিচে।

কয়েক মাস ধরেই এমন চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। ফলে বাজারে গিয়ে কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছেন না ক্রেতারা। সবজির সঙ্গে মাছ ও মাংসের দামও অস্বস্তিতে ফেলেছে ক্রেতাদের।

এরমধ্যেই বাজারে নতুন করে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। এক লাফে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। রাজধানীর বাজারগুলোতে এখন ৬০ টাকার নিচে এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচা মরিচ পাওয়া যাচ্ছে না।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা কাঁচা মরিচের পোয়া বিক্রি করছেন ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে এই বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

হুট করে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম বলেন, গতকাল এক পোয়া কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা বিক্রি করেছি। আজ আড়তে যে দাম তাতে ৭০ টাকার নিচে এক পোয়া কাঁচামরিচ বিক্রি করা সম্ভব না।

আরও পড়ুন: নাগালের বাইরে মাছ, হু হু করে বাড়ছে দাম

তিনি বলেন, বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কম। বৃষ্টিতে অনেক জায়গায় মরিচের খেত নষ্ট হয়েছে। আবার কিছুদিন পর ঈদ, পরিবহন চালকরা এখন গরু নিয়ে ব্যস্ত। এ কারণেও ঢাকায় মরিচ আসা কমেছে। সবকিছু মিলেই দাম বেড়ে গেছে।

ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন বাজারে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে গাজর ও পাকা টমেটো। গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। আর পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা।

চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে লাউ, করলা, বরবটি, ঝিঙা, কচুর লতিসহ সব ধরনের সবজি। এক পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে করলা।

এক কেজি কচুর লতি কিনতে যাচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। ঝিঙার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। ধুন্দলের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে করল্লা। ঢ্যাঁড়সের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।

বাজারে এখন সবচেয়ে কম দামের সবজি পটল। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কাঁচা পেঁপেও বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। কাঁচা কলা বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা হালি।

সবজির দামের বিষয়ে রামপুরার ব্যবসায়ী মো. মিলন বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দামে খুব একটা হেরফের হয়নি। বেশিরভাগ সবজি গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে। মৌসুম না হওয়ার কারণে এখন পাকা টমেটো ও গাজর সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী ফয়সাল আহমেদ বলেন, প্রতি বছর এসময়ে সবজির দাম একটু বেশি থাকে। কারণ বছরের এসময়ে সবজির সরবরাহ একটু কম থাকে। ঈদের আগে সবজির দাম কমার তেমন সম্ভাবনা নেই।

কারওয়ান বাজারে সবজি কিনতে আসা মিজানুর রহমান বলেন, বাজারে সব ধরনের সবজির প্রচুর দাম। পাঁচশ টাকার সবজি কিনলে অর্ধেক প্যাকেটের মতো হয়। শুধু সবজি না, বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম অস্বাভাবিক।

রামপুরা বাজারে সবজি কিনতে আসা মো. রহিত বলেন, মাংসের যে দাম তাতে অনেক আগেই মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। মাছও নিয়মিত খাওয়া হয় না। এখন সবজি খাওয়ারও উপায় নেই। একশ টাকার সবজি দিয়ে একদিন চলাই কষ্টকর। আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষ এখন খুব কষ্টে আছে।

এদিকে এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। গত সপ্তাহের মতো পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। রসুনও আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা এক কেজি রসুন কিনতে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দিতে হচ্ছে। আর দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা।

মুরগির বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রায়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রায়লার মুরগির দামে পরিবর্তন আসেনি। তবে পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৭০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে এই মুরগির কেজি ছিল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। আর গরুর মাংস আগের মতোই, অধিকাংশ বাজারে ৭৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দামে পরিবর্তন আসেনি।

বোয়াল, চিতল, আইড় ও ইলিশ মাছের দাম অনেকটাই নিম্ন-মধ্যবিত্তেরও নাগালের বাইরে। বোয়াল, চিতল, আইড় মাছের কাজে বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা। ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছের কাজে বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা। ছোট ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে এক হাজার টাকা।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com