বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৯ অপরাহ্ন
সত্যেন্দ্রনাথ রায়, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
বর্তমান মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নীলফামারীর ডিমলা তিস্তার চরে কৃষকদের মাঝে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে গমের চাষাবাদ। ফলে এ মৌসুমে ব্যাপক মুনাফার আশা করছেন কৃষকরা।জানা গেছে, আগে এই অঞ্চলে প্রচুর তামাকের আবাদ হতো। এছাড়াও একটা সময় গমের চাষও করা হতো। কয়েক বছর আগে গমের ব্লাস্ট রোগের কারণে চাষিরা গম চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। পরবর্তীতে আবার কৃষি অফিসের পরামর্শে কৃষকেরা গম চাষে ঝোঁকেন। তবে এই মৌসুমে গম চাষে বাম্পার ফলন হওয়ার আশা করছে তিস্তা পাড়ের চাষীরা।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এ বছর আবারও গম চাষে ঝুঁকেছেন কৃষকরা। তবে এবছর উপজেলার কোথাও ব্লাস্টের আক্রমণ দেখা দেয়নি।
ডিমলা উপজেলার টেপা খড়িবাড়ী ইউনিয়নের চর খড়িবাড়ী এলাকার কৃষক বাক্কার আলী জানান, এবছর তিনি এক বিঘা জমিতে গমের আবাদ করেছেন। সাধারণত শীতে গমের ক্ষেত নষ্ট হলেও এবার তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। ফলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তিনি।
পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ছাতনাই কলোনী এলাকার গম চাষি শহিদুল ইসলাম জানান, আগের কয়েক মৌসুমগুলোতে গমের রোগ (ব্লাষ্ট) হওয়ায় লোকসান হয়েছিল। এখন কৃষি অফিসের পরামর্শে আবারও গম চাষ শুরু করেছেন। গেলো বছর গমের আবাদ ভালো হওয়ায় এবারও গমের আবাদ করেছি। সবকিছু ঠিক থাকলে এই মৌসুমে গমের চাষে লাভের মুখ দেখবেন তারা। চাষি আজাহার আলী বলেন, এই বছর রোগের আক্রমণ না হওয়ায় ভালো ফলন ও মুনাফার আশা করছেন তিনি।জানা গেছে, ডিমলা উপজেলার চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্র ২৩০ এর মধ্যে ২২০ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী বলেন, ‘চলতি মৌসুমে এই অঞ্চলে ব্যাপকহারে গমের চাষ হয়েছে। কৃষি অফিসের পরামর্শে এই মৌসুমে কৃষকদের গম চাষের প্রতি আগ্রহী করে তোলা হয়।’ এই উপজেলায় বিপুল পরিমাণ তামাক চাষ হয়ে থাকে। আমরা তামাকের বিকল্প ফসলে উৎপাদনে কৃষকদের অন্যান্য ফসল আবাদের জন্য সহায়তার পাশাপাশি উদ্বুদ্ধ করছি।‘চলতি মৌসুমে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা অনেকগুণ বেড়েছে বলেও জানান তিনি।’