শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৯ অপরাহ্ন
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পাচারকালে মহাবিপন্ন প্রজাতির ২টি লজ্জাবতী বানর, ১টি সজারুসহ এক যুবককে আটক করেছে থানা পুলিশ।গতকাল (১০ নভেম্বের) বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি রেঞ্জ কার্যালয় সামনে হতে অভিযান চালিয়ে রক্ষিত বন্যপ্রাণী প্রজাতির করা হয়।
আটককৃত যুবকের নাম হল কুমিল্লা মুরাদনগর দক্ষিণ পাড়ার নোয়াব মিয়ার পুত্র এরশাদ(৩৫)।তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৬মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাহজাহান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান,থানার এসআই মোজাম্মেল হক ,চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাহমুদ হোসেন।চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ বলেন, উদ্ধারকৃত প্রাণীগুলোর নাম ২টি লজ্জাবতী বানর ও ১টি সজারু।
লজ্জাবতী বান পোকা মাকড় খেয়ে জীবন-যাপন করে অপরদিকে , সজারু প্রাণী বিভিন্ন গাছের মূল, বিচ, গাছের ছাল খেয়ে জীবন-যাপন করে থাকে। প্রাণীগুলো খুবই বিপন্ন প্রজাতির। প্রাণীগুলো ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে এদের বসবাস যেখানে ওই বনাঞ্চলে অবমুক্ত করা হয়েছে।
থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিলো কক্সবাজার চকরিয়া থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে বিক্রি করার জন্য প্রাণীগুলো নিয়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে উল্লিখিত এলাকায় গাড়িটি থামিয়ে ২টি লজ্জাবতী বানর ও ১টি সজারুসহ এক যুবক আটক করতে সক্ষম হয়েছি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আটককৃত ব্যক্তি এরশাদ তার দোষ স্বীকার করেন, বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বিরল প্রজাতির এইসব প্রাণীগুলো নিয়ে যাচ্ছিলেন। বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ এর ৩৪ (খ) ধারা অনুযায়ী এভাবে বণ্যপ্রাণী ক্রয়-বিক্রয় এবং আমদানি-রপ্তানি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আটককৃত ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের অপরাধ স্বীকার করায় আইন অনুযায়ী তাকে ৬মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান, অর্থদণ্ড অনাদায় আরও ১৫দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়