বাংলাদেশ প্রতিদিন খবর
- শুক্রবার ১১ নভেম্বর, ২০২২ / ৯০ জন দেখেছে
রাজশাহীর পুঠিয়ায় হোসনেয়ারা প্রান্তি (২০) মৃত্যুর ৮ মাস পর রহস্য উন্মোচন হয়েছে। আত্মহত্যা নয়, বাবা-মা ও ভাই মিলে তাকে হত্যা করে। এরপর আত্মহত্যার রূপ দিতে রাতে প্রান্তির গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে বাড়ির পাশে আম গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ গত (৯ নভেম্বর) বুধবার সকালে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত বাবা হাসানুজ্জামান বাবু (৪৫), মা নাসরিন বেগম (৪০) ও ভাই নাসিমকে (১৮) গ্রেফতার করেছে। তারা উপজেলা সদরের গণ্ডগোহালী গ্রামের বাসিন্দা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিষয়টি তারা স্বীকার করেছেন বলে জানায় পুলিশ।
পুঠিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, প্রাপ্তির ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে এসেছে। ওই প্রতিবেদনে আত্মহত্যা নয়, বরং তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে তার পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। এর মধ্যে মেয়েটির ভাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছে। আর মেয়েটির বাবা-মাকে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
তিনি বলেন, গ্রেফতার কৃতরা জানিয়েছেন মেয়েটির জীবন যাপন একটু উগ্র ছিল। যার কারণে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়েটিকে মারধর করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি মারা যায়। এরপর তাকে বাড়ির পাশে একটি আম গাছে ঝুলিয়ে রাখে।
ওসি বলেন, ওই ঘটনার পর থানায় একটি ইউডি মামলা করা হয়। তবে এখন হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় থানার একজন এসআই বাদী হয়ে নিয়মিত মামলা করেছেন। আর অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হবে।
প্রাপ্তি গত বছর পরিবারের অমতে পৌরসদর এলাকার কাঠালবাড়িয়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে জিয়ারুল ইসলামের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে উভয় পরিবার তাদের বিয়ে মেনে নেয়নি। তবে হত্যার কয়েকদিন আগে তিনি বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন। আর গত ৫ মার্চ দিবাগত রাতে বাবা মা ও ভাই মিলে প্রাপ্তিকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে।