বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪৬ অপরাহ্ন
সিলেট নগরীর রিকাবিবাজারের পুলিশ লাইন্স লুসাই গির্জা পূনস্থাপনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন করেছেন গির্জা সমিতির চেয়ারম্যান জমিংথাংগা লুসাই। শুক্রবার (১২ আগস্ট) তিনি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ওই আবেদন জানান। এছাড়া বিকালে নগরীর জিন্দাবাজারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের ব্যক্তিগত অফিসে তার সাথে দেখা করে জমিংথাংগা অনুলিপিও দেন। তিনি গীর্জা পূনস্থাপনের সহায়তা চেয়ে সমিতির জায়গা দখল ও একটি চক্রের দৌঁড়াত্বের বিষয়টিও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবগত করেন। বিষয়টি শুনে আর্থিক সহায়তা ও দখলদারদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেন পরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আবেদনে জমিংথাংগা লুসাই, উল্লেখ করেন, সিলেটে বসবাসরত একমাত্র খৃস্টান ধর্মালম্বী ক্ষুদ্র নৃ-ত্বাত্তি¡ক লুসাই সম্প্রদায়ের মানুষ। তার পিতা হারেঙ্গা লুসাই ছিলেন লুসাই সম্প্রাদায়ের খৃষ্টান ধর্মালম্বী একজন ব্রিট্রিশ পুলিশ বাহিনীর সদস্য ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে দেশ বিভাজনের সময় তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার সিলেট মিউনিসিপালিটি মৌজার জে. এল নং ৯১ এর অন্তগত ৪০০৮ এবং ৪০০৯ নং দাগের ভূমি পুলিশ লাইনে বসবাসরত লুসাই সম্প্রদায়ের খৃষ্টান ধর্মালম্বীদের প্রাথর্না ও মৃতদেহ কবরস্থ করার জন্য পুলিশ লাইন গির্জা সমিতিকে প্রদান করে। পরবর্তীতে হারেঙ্গা লুসাইকে গির্জা সমিতির চেয়ারম্যান হিসাবে নিযুক্ত করে উক্ত ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত গির্জা এবং কবরস্থান রক্ষনাবেক্ষন এবং সংস্কার করার জন্য দ্বায়িত্ব প্রদান করেন। দীর্ঘদিন উক্ত ভূমিতে অবস্থিত গির্জা এবং কবরস্থানটি রক্ষনাবেক্ষন তিনি করে আসছিলেন।
গত বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে জামায়াত নেতা সিরাজুল ইসলাম অবৈধভাবে সমিতির জায়গার অসংখ্য জাল ডকুমেন্ট সৃষ্টি করে গির্জা ও কবরস্থান দখল করে নেন। এমনকি গির্জাটিও ধ্বংস করেন। বর্তমান সরকারের আমলে বেআইনী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত সকল ব্যক্তিকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দুদক জিআর ০২/২০২১ নং মামলা করা হয়। পাশাপাশি গির্জার জন্য নির্ধারিত ভূমিও তারা ফিরে পান বলে উল্লেখ করে জমিংথাংগা। বর্তমানে গির্জা নির্মাণ করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করা হয়।