শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৭ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
চেয়ারম্যান: মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
অধিনায়ক, র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম কর্তৃক শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে পূজা মন্ডপ পরিদর্শন ও শুভেচ্ছা বিনিময় সাবেক হুইপ কমলকে প্রধান করে ৪০০ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মা’ম’লা পূজা কমিটির নেতাসহ ছয়জন ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম গায়কের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা ডিমের দাম বৃদ্ধিটা কারসাজি : উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগে জাতিসংঘের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত জেএমসেন হলে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও গোলমাল সৃষ্টির ঘটনায় দুইজন গ্রেফতার শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছায় নাগরপুর উপজেলা বিএনপি লোহাগাড়ায় বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শনে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাজ্জাদুর রহমান বাংলাদেশ থেকে এ অর্থ কীভাবে পাচার গুলি করে জেলে হত্যা

রাজশাহীতে জমে উঠেছে কোরবানির হাট

দুয়ারে কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। আর মাত্র ৫দিন পরেই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে রাজশাহীতে পশুরহাট বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে। তবে অন্য বছরের তুলনায় এবার গবাদি পশুর দাম একটু চড়া হওয়ায় ক্রেতাদের আগ্রহ কম লক্ষ্য করা গেছে।

গত রবিবার (৩ জুলাই) উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় পশুরহাট ঘুরে দেখা গেছে, হাঁক-ডাকে জমে উঠেছে হাট প্রাঙ্গন। ছোট-বড় ও মাঝারি ধরবেনর পশুর সমাহারে হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। হাটে পশুর সরবরাহ প্রচুর তবে অন্য বছরগুলোর চেয়ে ক্রেতা কম বলে মনে করছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, গতবছরের তুলনায় ভালো দামে গরু-মহিষ বিক্রির প্রত্যাশা রয়েছে। তবে ক্রেতা কম। দামও বলছে কম। সামনের কয়েকদিন ক্রেতা সমাগম বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছেন বিক্রেতারা।

তানোরের কৃষ্ণপুরের বাসিন্দা শাহাবুদ্দিন ৫ টি গরু নিয়ে হাটে এসেছেন। তিনি গ্রাম থেকে গরু কিনে হাটে বিক্রি করতে নিয়ে এসেছেন। তার ৪ মণের গরুর দাম ক্রেতারা বলছেন ৯০ হাজার এবং ৫ মণের গরুর দাম বলছে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। এই ব্যবসায়ীর ভাষ্যমতে, তার কেনা দামের চেয়ে ১০-১৫ হাজার টাকা কম দাম হাঁকছেন ক্রেতারা। এই হাটে গরু বিক্রি করতে এসেছিলেন পবার আইনাল হক। তিনি জানান, বিভিন্ন জায়গা থেকে বাড়ি বাড়ি গরু কিনে এসে হাটে বিক্রি করেন। ইদের হাট জমজমাট থাকলে প্রতিটা গরুতে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা লাভ করেন তিনি। এবারও সেই প্রত্যাশা নিয়ে গরু কিনেছেন। হাটে বিক্রেতা প্রচুর। কিন্তু ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলক কম। এখন হাট জমজমাটভাব থাকলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রি জমেনি।

আশরাফ হোসেন নামের এক গরু খামারি জানান, গতবারের চেয়ে এইবার গরুর দাম বেশি। কিন্তু গরুর উৎপাদন খরচ বিবেচনায় তেমন বেশি না। আইনাল কবিরাজ নামের এক ক্রেতা জানান, ৫ মণ ওজনের একটি গরু কিনতে তারা ভাগের ৭ জন এসেছেন। হাটের শুরুর দিকে তারা প্রতিবার আসেন। কারণ প্রত্যাশিত দামের মধ্যে শেষের দিকে হাটে গরু পাওয়া যায় না। এবার গরুর দাম চড়া। মহিষেও স্বস্তি নাই। হাট-ঘুরে পছন্দ মতো গরু কিনবেন।

রাজশাহী সিটি হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য ফারুক হোসেন ডাবলু জানান, হাটে পশুর আমদানি ভালো আছে। বড় বড় ব্যবসায়ীরা আসছেন। করোনার কারণে গতবার বাইরে থেকে ব্যাপারিরা সেভাবে আসতে পারেন নি। এবার সবাই আসছেন। হাক-ডাক দিচ্ছেন। বেচা-বিক্রি শুরুও হয়েছে। কিন্তু যেভাবে হওয়ার কথা সেভাবে হচ্ছে না। কয়েক হাতে আছে; হয়তো এখন বেশ জমজমাট কেনাবেচা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় এবার কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে ২৭ লাখ ২৮ হাজার ৪৬০টি। রাজশাহী জেলায় কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত রয়েছে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৮৫২ টি। ১৬ হাজার ৭৯ জন খামারির কাছে আছে এক লাখ ২১ হাজার ৩৭২টি গরু, দুই লাখ ৩৩ হাজার ২৩৫টি ছাগল, ৩৮ হাজার ২৪৫ টি ভেড়া ও তিন হাজার ২১১টি মহিষ। জেলায় এবার কোরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা তিন লাখ ৮২ হাজার ১১৮টি। চাহিদার চেয়ে প্রায় ১০ হাজার পশু বেশি আছে রাজশাহীর ৯ উপজেলায়।

গত বছর রাজশাহীতে কোরবানির জন্য তিন লাখ ৮২ হাজার পশু পালন করা হয়েছিল। আর কোরবানি হয়েছে প্রায় তিন লাখ ৯ হাজার পশু। হিসাব অনুযায়ী গত বছরের প্রায় ৭৩ হাজার কোরবানির পশু অবিক্রিত রয়েছে। সেই পশুর একটি বড় অংশ এবারের কোরবানির পশুর সংখ্যায় যোগ হয়েছে। রাজশাহী প্রাণিসম্পদ দফতর এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এবারও পশু অবিক্রিত থাকার শঙ্কা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. জুলফিকার মো. আখতার হোসেন বলেন, ‘রাজশাহীতে পশুর যোগান বেশি থাকায় এবার ঈদ বাজার খামারি ও ক্রেতা উভয়ের অনুকূলে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর গত রবিবারের (৩ জুলাই) হাট পর্যবেক্ষণে করে আমরা বলতে পারি, পশুর সরবরাহ বেশি। ক্রেতারা আসছেন। বাজার বোঝার চেষ্টা করছেন। ঈদের দুইদিন আগে থেকে কেনা-বেচা পুরোপুরি জমে উঠবে। চাহিদার তুলনায় গবাদি পশুর সংখ্যা বেশি হওয়ায় গতবারের মত এবারো উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পশু অবিক্রিত থাকতে পারে।’

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com