বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন
আজ কুড়িগ্রাম জেলায় জঙ্গি হামলায় নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে ।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মান্নান এ রায় দেন। দীর্ঘ ৬ বছর পর দেয়া এই রায়ে ছয়জন জেএমবি সদস্যেকে আদালত মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে ।
হত্যা মামলার ৭ আসামির মধ্যে ৫ আসামি রাজীব গান্ধী, রিয়াজুল ইসলাম ওরফে মেহেদী, ফিরোজ হাসান ওরফে মোখলেছ, মাহাবুব হাসান মিলন ও আবু নাছির ওরফে রুবেলকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। মামলা চলাকালে অপর এক আসামি সাদ্দাম হোসেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে ‘বন্দুক যুদ্ধে’ নিহত হওয়ায় মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আসামি গোলাম রব্বানী পলাতক রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২২ মার্চ সকাল ৭টার দিকে কুড়িগ্রাম জেলা শহরের গড়ের পাড় এলাকায় প্রাত ভ্রমণে বের হয়েছিলেন মুসলিম থেকে খ্রিষ্ট্র ধর্মে ধর্মান্তরিত বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী। এ সময় ওৎ পেতে থাকা জঙ্গিরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। পরে জঙ্গিরা ভীতিকর অবস্থা তৈরি করতে বিভিন্ন স্থানে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের ছেলে রাহুল আমিন আজাদ বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা করেন। একই বছরের ৫ নভেম্বর মামলাগুলোর অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়। এরপর ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর আদালতে মামলাগুলোর অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলার মোট ৩২ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এস এম আব্রাহাম লিংকন এবং আসামি পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন লিগ্যাল এইড নিয়োজিত অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবীর।
কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এস এম আব্রাহাম লিংকন বলেন, এই হত্যা মামলা প্রমাণে রাষ্ট্রপক্ষ, পুলিশ ও প্রসিকিউসনের সমর্থন পেয়েছি। এই খুনি চক্র ধর্মের অপব্যাখ্যা করে বিভ্রান্ত হয়ে পরিকল্পিতভাবে তারা এমন নৃশংস খুন করে রাষ্ট্র এবং সরকারকে বিপর্যস্ত করতে চেয়েছিল। তিনি আরো বলেন, এ রায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি এ ধরনের অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।