শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
চেয়ারম্যান: মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
চান্দগাঁও থানার অভিযানে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ড্রাইভারকে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ড নওগাঁয় বিশাল কর্মযজ্ঞে মধ্যেদিয়ে স্বর্ণের মত দেখতে পিতলের গহনা হাতের চুড়ি বলা তৈরী হচ্ছে মহাসড়কের স্বয়ংক্রিয় আন্ত:জেলা ডাকাত চক্রের ৮ সদস্য গ্রেফতার-পিস্তল গুলি সহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার গোসাইরহাট প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি কাউছার সভাপতি, সম্পাদক শামীম রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে প্রবাসী সবুজ হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ রূপগঞ্জে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৪৭ কর্মকর্তা বদলি ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান এনজিও কার্যক্রম বিষয়ক চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয় কমিটিতে আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের জলসীমা থেকে দুটি বিদেশি ফিশিং ট্রলার আটক করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী

টাঙ্গাইলে বাল্যবিবাহ করলেন সেনা সদস্য মেহেদী হাসান

আমাদের সমাজে যতগুলো সামাজিক ব্যাধি লক্ষ্য করা যায় তার মধ্যে বাল্য বিবাহ অন্যতম। বাল্য বিবাহের কারণে অকালে ঝরে যায় অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীর পথচলা।আমাদের পরিবার তথা সমাজ এই আধুনিক যুগে এসেও তাদের মেয়েকে বোঝা মনে করেন। তাই বয়স একটু হলেই অকালে বাল্য বিবাহ দিয়ে বাছতে চায়। কিন্তু,এখনও বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে আমরা তেমন কিছুই জানিনা।

আমাদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত কোনো ছেলে পেলেই মেয়ের বাবা, মা আনন্দে আটকানা হয়ে উঠে। কোনোকিছু না ভেবেই মেয়েকে বলির পাঠা ভেবে বলি দিয়ে দেয়। কিন্তু, গবেষণায় দেখা গেছে বাল্য বিবাহের শিকার হওয়া শতকরা ৯০% এর বেশি মেয়ে সাংসারিক জীবনে অসুখী, অনেকে আবার আত্মহননের পথও বেছে নেয়।

টাঙ্গাইলে এমনই এক বাল্য বিবাহের ঘটনা ঘটেছে। টাঙ্গাইল পৌর এলাকার ১৮ নং ওয়ার্ডের (সাবালিয়া) পিতাঃ মোবারক হোসেনের দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া মাইমুনা মীম (১৪) মেয়ের পরিবার পার্শ্ববর্তী এলাকা টাঙ্গাইল পৌর ০১ নং ওয়ার্ড (দেওলা) এর মেহেদী হাসান নামক সেনাবাহিনীর সদস্য পেয়ে টাঙ্গাইল শহরের কোদালিয়া এলাকার গ্রীন হাউস পার্টি সেন্টারে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের মেয়েকে বিবাহ দিয়ে দেয় কিন্তু, তার জন্মসনদে দেখা যায় মেয়েটির এখনও বিষয়ের বয়স হয়নি।

সেনা সদস্য অপেক্ষাকৃত সুন্দর ও ছোট মেয়ের রুপে পাগল হয়ে বিবাহ করেন।কিন্তু, গোপন সূত্রে জানা যায় মেয়েটির একাধিক প্রেম ছিল এবং মেয়েটি প্রতারক ছিলো। একাধিক প্রেমিককে প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের সুন্দর জীবন নষ্ট করেছে মেয়েটি। তার একাধিক প্রেমের বিষয়টি তার সাবেক প্রেমিক নিশ্চিত করেছে।

মাইমুনা মীমের এক প্রেমিক ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন –

” জীবনে অনেক বাটপার , ধোকাবাজ দেখছি কিন্তু তোমার মত কাউকে দেখি নাই “

“তোকে কখনো বুলবো না । তুই কেন আমার ভালোবাসা বুঝলিনা । আমাকে কেন বুঝলিনা । আমাকে কেন চিনলিনা আমি কি চাইছি তুইবুঝলিনা । আমাকে পাওয়ার পরও কেন সব কিছু ছাড়তে পারলিনা । তুই আমার সাহস হইলিনা কেন … আমি তর সাপোর্ট পাইনি …. পাইলে তোকে কখনো ছাড়তাম না ।”

মাইমুনা মীমের প্রাক্তন প্রেমিক (নাম পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক) এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, দীর্ঘ ৫ বছর মাইমুনা মীম ও তার পরিবারের সাথে সম্পর্ক ছিলো। পরবর্তীতে মেয়ে ও তার মায়ের চারিত্রিক কারনে প্রাক্তনের প্রেমিকের মা অস্বীকৃতি জানালে প্রেমিক সরে যায়। তিনি আরো বলেন, তার সাথে সম্পর্ক থাকাকালীন বেশ কিছু ছেলের সাথে সম্পর্ক তার নজরে পরে। ৫ বছরে তিনি অর্থনৈতিক ও মানসিক দিক থেকে প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানান।

এই বিষয়ে মাইমুনা মীমের পরিবারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে মেয়ের মা বিলকিস বেগম বলেন, আমার মেয়ে আমি বিয়ে দিবো ১ জায়গায় নয়, একশো জায়গায় দিবো এই বলে ফোন কেটে দেন।

বাল্যবিবাহ করা সেনা সদস্য ও তার পরিবারের সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।এই বিষয়ে সাবালিয়া এলাকায় স্থানীয় লোকজন বলেন, মেয়ে এবং মেয়ের মা উভয়ই ইতিপূর্বে বহুৎ ঘটনা ঘটিয়েছে। বিয়ের বিষয়ে আমাদের জানানেই, হয়তো এই রমজানের ফাকে গোপনেই বিয়ে সারিয়ে ফেলেছে।

শুধু বাল্য বিবাহ না প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করে আমাদের সমাজে অনেক পুরুষ প্রতারিত হচ্ছে এসব নারীরুপি প্রচারকদের থেকে সচেতন হওয়া উচিত।

বাল্য বিবাহ আইনে বলা আছে –

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ এর ধারা ৯ অনুসারে কোন ব্যক্তি বাল্য বিবাহ সম্পাদন বা পরিচালনা করলে, যেমন আয়োজন, ধর্মীয় রীতিনীতি পালন ইত্যাদি তিনি একটি অপরাধ করছেন বলে ধরা হবে এবং এর জন্য তিনি সর্বোচ্চ দুই বছর থেকে সর্বনিন্ম ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন এবং এরই সাথে সর্বোচ্চ এক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে পারে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com