মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:২৬ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:

রাজশাহীতে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় সহপাঠীদের বিক্ষোভ

সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী শিমুলের মৃত্যুর ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন তার সহপাঠীরা। শনিবার (২৫ জানুয়ারি)বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করেন তারা। এছাড়া কলেজ ক্যাম্পাসে তারা মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।

শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিলে রাজশাহী কলেজের সামনে দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় বিকল্প সড়কে যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এ সময় ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, শিমুল হত্যার বিচার চাই’, ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

কিছুক্ষণ পর তারা সরে গেলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিনোদপুর গেট-সংলগ্ন ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন নিহত শিক্ষার্থীর স্বজন ও স্থানীয়রা। সড়কে বিক্ষোভ করে তারা প্রক্টরের পদত্যাগও দাবি করেন।

গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে রাজশাহী কলেজের শিমুল নামের এক শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শিমুল ওই রাতে তার বন্ধবীকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রক্টরের গাড়ি দেখে দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পড়ে গিয়ে শিমুল আহত হন। আর পরিবারের দাবি, শিমুলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

শিমুলের বাড়ি পার্শ্ববর্তী বুধপাড়া এলাকায়। তিনি রাজশাহী কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি করেছে। আর পুলিশ শিমুলের বান্ধবীকে উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রেখেছে। এ নিয়ে শনিবার বিকেল পর্যন্ত মামলা হয়নি।

নগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক বলেন, ‘শিমুলের পরিবার মামলা করতে চায়। সম্ভবত হত্যা মামলা হবে। সন্ধ্যার পর তারা এজাহার নিয়ে আসতে চেয়েছে।’

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com