বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন
মোঃ সেলিম উদ্দিন খাঁন বিশেষ প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বিজ্ঞানাগার নির্মাণের বালু সাপ্লাই নিয়ে বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে।
এতে উভয় পক্ষের ৪ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।আহতরা হলেন- সাবেক শিবির নেতা জামাল উদ্দিন (৩৯), ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মাসুকুল আলম সোহান (৪৮), যু্বদল কর্মী মো. মামুন (৩৫), জামায়াত কর্মী আলাউদ্দিন (৩৬)। এদের মধ্যে গুরত্বর আহত জামাল উদ্দিনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার জোরারগঞ্জ বাজারে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সামনে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জোরারগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বিজ্ঞানাগার নির্মাণের বালু সাপ্লাই নিয়ে বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীদের সঙ্গে সকালে কথাকাটি হয়। পরে ২ গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে জোরারগঞ্জ বাজারের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে।
পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে মারামারি নিয়ন্ত্রণে আসে।এবিষয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব আলম জানান, নির্মাণ কাজের বালু ভরাটের কাজ কোন গ্রুপের লোকদের দেয়া হয়নি। স্যাম্পলের জন্য বালু নিয়ে আসলে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতে নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
ইউনিয়ন বিএনপি সদস্য সচিব মাসুকুল আলম সোহান জানান, বালু ভরাটের কাজ তাদের লাইসেন্স জোরারগঞ্চ এন্টারপ্রাইজকে দেয়া হয়েছে। জামায়াতের নেতাকর্মীরা বালু ভরাটের সময় বাধা সৃষ্টি করে। পরে মোটরসাইকেল নিয়ে জামায়াতের হেলমেট বাহিনী, প্রকাশ্য অস্ত্র নিয়ে হামলা করে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর।
এতে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী আহত হয়। এব্যাপারে জোরারগঞ্জ থানা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাঈন উদ্দিন জানান, এটি ব্যবসায়ীক ঘটনা। হামলার বিষয়ে নিন্দা জানাই।
বিএনপির নেতাদের সঙ্গে বসে সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানা জামায়াতের আমীর নুরুল হুদা হামিদী জানান, নির্মাণকাজের বালু সরবরাহের দায়িত্ব পায় জেএস এন্টারপ্রাইজ।
কিন্তু বালু পাঠানোর পর বিএনপির লোকজন আটকে দেয় এবং নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। এতে জামাল, আলী ও আলাউদ্দিনসহ কয়েকজন আহক হয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা বিএনপির সঙ্গে বসবো।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম শিফাতুল মাজদার জানান, জোরারগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সামনে রাজনৈতিক দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পরে পুলিশের টিম এসে ঘটনার নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।