শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২১ অপরাহ্ন
ষ্টাফ রিপোর্টার, লালমনিরহাট:
লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের দুরাকুটি নামক স্থানে তিস্তা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির লিমিটেড নামে একটি সমিতি সমবায় অফিস থেকে নিবন্ধন নিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে আদিতমারী উপজেলা ও কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তিস্তা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমিতি সভাপতি এম ,এ হাশেম সমবায় নীতিমালা আইন পরিপন্থী ভাবে সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে এম এ হাশেম। এদিকে তার আপন ভাগিনা হাসান তারেক আলোর প্রদীপ পণ্য উৎপাদন বিপনকারী সমবায় সমিতির লিমিটেড নামে সমিতি পরিচালনা জন্য নিবন্ধনের জন্য সমবায় অফিসে আবেদন করেন, আবেদন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সমবায় কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র যাচাই করে হাসান তারেক কে নিবন্ধন দিয়েছে যাহার নিবন্ধন নং- আদি-২০ ।
জানাযায় হাসান তারেক এবং এম,এ হাশেম আপন মামা ভাগ্নেনা দুই জন পৃথক পৃথক সমবায় নিবন্ধন থাকায় একে অপরের দিকে কাদা ছোড়াছুড়ি ও মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ করে যাচ্ছে এম, এ হাশেম। ভাগিনা হাসান তারেক সমবায় আইন অনুযায়ী নিবন্ধন পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মামা হাশেম নিজের স্বার্থের জন্য ভাগিনা হাসান তারেক ও সমবায় অফিসারের বিরুদ্ধে মানহানীকর , মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছেন এম এ হাশেম । এম ,এ হাশেম দাবি করেন তার ভাগিনা হাসান তারেক তিস্তা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড গত ১/৬/২০২১ ইং তারিখ থেকে ১১/১২/২০২৩ইং তারিখ পর্যন্ত ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিল ।
মামা এম ,এ হাশেমের প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরি ছেড়ে হাসান তারেক নিজেই সমবায় থেকে নিবন্ধন নিয়ে আলোর প্রদীপ পণ্য উৎপাদন ও বিপণনকারী সমবায় সমিতির লিমিটেড নামে নিবন্ধন নেয় ভাগিনা হাসান তারেক। সমিতির কার্যক্রম আদিতমারী উপজেলার কালীহাটে শুরু করেন। এত ক্ষিপ্ত হয়ে মামা এম,এ হাশেম তার ভাগিনা হাসান তারেক এর বিরুদ্ধে নিবন্ধন বাতিল চেয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন । সরজমিনে তদন্ত করে জানাযায় হয়রানি উদ্দেশ্যে আপন ভাগিনা বিরুদ্ধে নিজের স্বার্থ হাসিল করতে এম,এ হাশেম মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে পত্রপত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছে। মামা ভাগ্নের স্বার্থের দ্বন্দ্বের কারণে স্বনামধন্য একজন উপজেলা সমবায় অফিসারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলায় খুব প্রকাশ করেছে উপজেলা সচেতন মহল ।
এলাকাবাসী জানায় হাশেম বিভিন্ন সময়ে নিজের রুপ বদলায়। গত ২০১২ ইং সাল পর্যন্ত নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এখন মুজিব কোট পড়ে বর্তমান সরকারের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে। তার দুই ছেলে দুটো বাইক ব্যবহার করেন।যার মূল্য ছয় লক্ষ টাকা। একটি সমিতি চালিয়ে এই টাকার উৎস কোথায় তার তদন্ত হওয়া দরকার মনে করেন সচেতন মহল ।