বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:২৯ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
নওগাঁ মহাদেবপুর খাজুর গ্রামের ডাকাতি কারার একপর্যায়ে গৃহবধূ কে তুলেনিয়ে গণধর্ষণ ৭ জন গ্রেফতার নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠন নগরীতে তল্লাশির সময় পরিচয় জানতে চাওয়ায় পুলিশের ওপর হামলা, আটক দুই চাঞ্চল্যকর খুলনার কাউন্সিলর হত্যা: হোটেলে সঙ্গে থাকা নারীসহ আটক তিন চট্টগ্রাম- মেট্রোপলিটন-সিএমপিতে আসছেন চার নতুন ডিসি-এডিসি চট্টগ্রামে ‘বাণিজ্য মেলায় যুবদলের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ,প্রাণ গেল একজনের অনলাইন’ জুয়ার’ টাকা’ সংগ্রহে’কে কেন্দ্র করে’ যুবককে গলা টিপে হত্যা” প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্যের স্বর্গরাজ্য সোনাদিয়া দ্বীপ আজ বিপর্যয়ের মুখে বেগম খালেদা জিয়ার অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আপিলের রায় আগামীকাল লোহাগাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে করণীয় শীর্ষক আলোচনা

টাকার বিনিময়ে নতুন পরিচয় পাচ্ছেন রোহিঙ্গাসহ দাগি আসামিরা

সেলিম উদ্দিন,(বিশেষ প্রতিনিধি)

২০১৯ সাল থেকে রোহিঙ্গা ছাড়াও দেশের দাগি আসামিদের টাকার বিনিময়ে ভিন্ন নাম-ঠিকানায় জন্ম নিবন্ধন, এনআইডি ছাড়াও পাসপোর্ট দিয়ে আসছিল একটি চক্র। এরমধ্যে অনেককেই চক্রটি বিদেশে পাঠিয়ে দিতো, আবার কেউ কেউ দেশে থেকেই অপরাধমূলক কাজ করতেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি, সম্প্রতি পৃথক অভিযান চালিয়ে এই চক্রের ২৩ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

ডিবি প্রধান জানান, অপরাধমূলক এই কাজে চক্রটি ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, রংপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ ও বরিশাল জেলার ঠিকানা ব্যবহার করে আসছিল। এসব এলাকায় জন্ম নিবন্ধন ও এনআইডি দিয়ে পাসপোর্টগুলো করা হতো। এ ক্ষেত্রে প্রত্যন্ত অঞ্চলের যাদের কারও ভবিষ্যতে বিদেশ যাওয়ার সম্ভাবনা নেই, তাদের তথ্য ব্যবহার করে জাল পাসপোর্ট তৈরি করা হতো।

হারুন অর রশীদ জানান, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট ও সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্ট ছাড়াও কম্পিউটারসহ তিন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ এবং ১০ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনে ও রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুইজন আনসার সদস্য, রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিসহ ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সঙ্গে তাদের হেফাজত থেকে ১৭টি পাসপোর্ট, ১৩টি এনআইডি, পাঁচটি কম্পিউটার, তিনটি প্রিন্টার, ৪০টি মোবাইলসহ পাসপোর্ট তৈরির শতশত দলিলপত্র জব্দ করা হয়েছে।

এই ২৩ জনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন,গ্রেফতার রিমান্ডে এনে আমরা জানতে পেরেছি- পুরো জালিয়াতি চক্রে মূলত তিনটি চক্র কাজ করে। এরমধ্যে একটি চক্র রোহিঙ্গাদের জোগাড় করতো। এই চক্রটি কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি থেকে রোহিঙ্গাদের ঢাকায় আনতো। এরপর আরেকটি চক্র ঢাকায় নিয়ে আসা এসব রোহিঙ্গাদের নামে জন্ম নিবন্ধন, এনআইডি নম্বর করার কাজ করতো। এছাড়া আরেকটি পক্ষ তাদের পাসপোর্ট বানানোর কাজ করতো।

ডিবি প্রধান জানান, রেজিস্ট্রেশন করার জন্য প্রথম চক্রটি ৫-১২ হাজার টাকা নিতো। আরেকটি পক্ষ তিন দিনের মধ্যে এনআইডি করে দেয়ার জন্য ২৫ হাজার টাকা নিতো। এছাড়া আরেকটি গ্রুপ আনসারের সহায়তায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট করে দিতো।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com