বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন
নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় ঈদকে ঘিরে ঈদুল আযহা উপলক্ষে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ করা হয়েছে।
ঘটনা উপজেলা বসুনিয়া হাটের,ঈদের কোরবানি গরু ক্রেতা ও বিক্রেতারা উক্ত অভিযোগ সংবাদ কর্মীদের কাছে করলেও, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা’র কাছেও লিখিত অভিযোগ করেছে।
সোমবার সরেজমিনে হাটে গিয়ে ও ইউএনও বরাবর অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত টোল আদায় করছেন হাট ইজারাদার মামুন। সরকারের নির্ধারিত মূল্য ২১০ টাকা হলেও ক্রেতা বিক্রেতার কাছ থেকে ৮০০ টাকা টোল আদায় করা হচ্ছে। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে ৮০০ টাকা আবার রশীদ বহিতে লেখা হচ্ছে না টোলের পরিমাণ। বহুল পরিচিত হাটটিতে দেশের দূর দূরান্ত হতে আসা ক্রেতা বিক্রেতার সাথে টোল নিয়ে প্রতিনিয়ত হচ্ছে বাকবিতন্ডা। ইজারাদার মানছেননা সরাকারী টোল আদায়ের শর্ত। অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদদের মেনেজ করে হাটটিতে চলছে অতিরিক্ত টোল আদায়।
বসুনিয়ার হাটে গিয়ে দেখাযায় ক্রেতার কাছ থেকে ৬শ টাকা ও বিক্রেতার কাছ থেকে ২শত টাকায় আদায় করছেন রশিদ লেখকরা। তবে রশিদে কোন টাকা উল্লেখ করছেন তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রশিদ লেখক বলেন হাট ইজারাদার আমাদের যে ভাবে বলেছে আমরা সেই হিসাবে টোল আদায় করছি।
হাটে গরু কিনতে আসা সাজ্জাদ কিবরিয়া হোসেন পাপ্পু জানান, আমি একটি গরু কিনেছি, আমাকে ৬শ টাকা টোল দিতে হয়েছে এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ২শ টাকা নিয়েছে। ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের কাছ থেকে মোট ৮শত টাকা আদায় করে হাট ইজারাদার। ক্রেতা মেহেদী, মো. রাসেল, রবিউল ও মোকছেদ একই অভিযোগ করেন তারা। ক্রেতারা জানান, গত বারের চেয়ে চলতি হাটে প্রায় তিগুন টোল আদায় করা হচ্ছে। এতে ক্রেতাদের মাজে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
গরু ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম বলেন, আমরা বিভিন্ন হাটে গরু কিনে বসুনীয়া হাটে নিয়ে বিক্রি করি। অন্যান্য হাটের চেয়ে এখানে বেশী টোল নেওয়া হচ্ছে।যে কারনে গরুর আমদানী অনেক হলেও গরু বিক্রি কম। আমি দু’টি গরু বিক্রি করেছি সিমিত লাভে। কিন্তু আমাকে টোল দিতে হলো ২শত করে ৪শত টাকা। আর আমি যার কাছে বিক্রি করেছি ওনাদের কাছ থেকে ২টি গরুতে নেওয়া হয়েছে ৬শত করে ১২শ টাকা।
হাট ইজারাদার মামুন সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়ে। ফোন দিলে রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রমিজ আলম অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
কথা হলে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম ফিরোজ চৌধুরী বলেন, ৮শত টাকা টোল আদায়ের কথা জেনেছি। এ বিষয়ে আমি ইজারাদারকে সরকারী ভাবে টোল আদায় করতে বললেও ইজাদার আমার কথা উপেক্ষা করেছে।