বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৬ অপরাহ্ন
নওগাঁর মান্দায় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে মাদ্রাসার এক শিক্ষককে রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও বল্লম দিয়ে খুঁচিয়ে জখম করা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন স্থানীয়রা। আজ সোমবার সকালে উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষকের নাম মোজাফফর হোসেন (৪৫)। তিনি পাকুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ও কালিকাপুর আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এদিকে শিক্ষক মোজাফফর হোসেনকে কুপিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় দুই নারীসহ পাঁচজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিরা হলেন মোসলেম উদ্দিন (৫০), তাঁর স্ত্রী আলতা বিবি (৪৬), ছেলে আরিফ হোসেন (২৬) ও শরীফ হোসেন (২৪) এবং মেয়ে সুমী আক্তার (২০)।
শিক্ষক মোজাফফর হোসেনের স্বজন ইদ্রিস আলী জানান, কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিক দিয়ে বাড়িতে কাজ করিয়ে নিচ্ছিলেন শিক্ষক মোজাফফর হোসন। এ সময় প্রতিবেশি মোসলেম উদ্দিনের নেতৃত্বে ১০-১২ জন রামদা, লোহার রড, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শিক্ষক মোজাফফর হোসেনের ওপর হামলা চালান। হামলাকারীরা তাঁকে কুপিয়ে ও বল্লম দিয়ে খুঁচিয়ে গুরুতর জখম করে।
স্বজন ইদ্রিস আলী আরও বলেন, শিক্ষক মোজাফফর হোসেনের স্ত্রী সখিনা বিবি সম্প্রতি মারা গেছেন। ছেলে সজীব রাজশাহীতে লেখাপড়া করেন। ছোট মেয়ে টুম্পাকে নিয়ে তিনি বাড়িতে থাকতেন। বাড়িতে লোকজন না থাকার সুযোগে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর ওপর এ হামলা চালানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী আমজাদ হোসেন বলেন, সোমবার সকালে শিক্ষক মোজাফফর হোসেনের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। এসময় তাঁর বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। পরে হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া দিয়ে গ্রামের আব্দুস সোবহানের বাড়িতে পাঁচজনকে আটক করেন স্থানীয় লোকজন।
এ প্রসঙ্গে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আটক পাঁচজনকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।