বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন
সূর্যাস্তের সাথে সাথে ইফতারি করতে হবে।দেরী করা যাবেনা।
রাসূল (সাঃ) বলেন, “যখন পূর্ব দিক থেকে অন্ধকার নেমে আসবে এবং পশ্চিম দিকে সূর্য ডুবে যাবে,তখন সায়েম ইফতারি করবে।” (বুখারী হা/১৯৫৪, মুসলিম হা/১১০০)
অন্য হাদীসে এসেছে রাসূল (সাঃ) বলেন, দ্বীন চিরকাল বিজয়ী থাকবে, যতদিন লোকেরা তাড়াতাড়ি ইফতারি করবে।কেননা ইহুদি-নাসারা দেরীতে ইফতারি করে। (আবু দাউদ হা/২৩৫৩)
এছাড়া বুখারীর ১৯৫৭নং হাদীসে এসেছে, রাসূল (সাঃ) বলেন, আমার উম্মত ততোক্ষণ কল্যাণে থাকবে,যতোক্ষণ তারা তাড়াতাড়ি ইফতারি করবে।
এসব হাদীস থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মাণ যে দ্রুত ইফতারি করা সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত আর দেরিতে ইফতারি করা ইহুদি-নাসারাদের অন্তর্ভুক্ত। আর দ্রুত ইফতারি করা বলতে, সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথেই ইফতারি করার কথা বোঝানো হয়েছে যদিও আকাশে অবশিষ্ট লাল আভা দেখা যায় বা দিন দিন ভাব থাকে।
আমরা সবাই নিজ চোখেই দেখতে পাই সূর্যের অস্ত যাওয়া।আকাশ মেঘলা থাকলে বা অন্য কোনো কারণে এটা সম্ভব না হলে বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা সূর্যের অস্ত যাওয়ার সময় জানতে পারি।এর ফলে সহজেই সময়মতো ইফতারি করা সম্ভব।
এটা লক্ষ্যনীয় যে,আমাদের দেশে ইফতারির যে সময় দেওয়া হয় এটা মূলত সতর্কতা স্বরুপ সূর্য ডোবার সাথে ২/৩/৫ মিনিট যোগ করে বলা হয়। এটা অনুসরণ করে ইফতারি করলে কল্যাণ লাভ করা যাবে না বরং তা দেরী করে ইফতারির শামিল হবে।সতর্কতা ভালো কিন্তু সেটা সঠিক পন্থায় হতে হবে।তানা হলে এই সতর্কতাই আপনাকে কল্যাণ থেকে দূরে রাখবে।