শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২০ অপরাহ্ন
ফেসবুক-টিকটকের মাধ্যমে পরিচয়। এরপর বন্ধুত্ব এবং পরে ভালোবাসা। প্রেমের টানে বান্ধবীর সঙ্গে সংসার করতে টাঙ্গাইলে চলে এসেছেন নোয়াখালীর কিশোরী। একে অপরকে ভালোবাসেন এবং একসঙ্গে সারাজীবন থাকতে চান। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ফুলকি ইউনিয়নের ময়থা গ্রামের আজহার আলীর মেয়ে আঁখির প্রেমের টানে টাঙ্গাইলে ছুটে এসেছেন নোয়াখালীর নুরুল ইসলামের মেয়ে বিলকিস। রোববার (২১ মার্চ) বিকেলে আঁখির বাসায় ছুটে আসেন বিলকিস।
জানা গেছে, ফেসবুক ও টিকটকে তাদের পরিচয়। এরপর দীর্ঘদিন হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয়। জড়িয়ে পড়েন ভালোবাসায়। তিন মাস আগে দুইজন একত্রে ঘরও ছেড়েছিলেন। পরে পরিবারের চাপে বাড়িতে ফিরতে বাধ্য হয় তারা। এবার আঁখির কাছে ছুটে এসেছেন বিলকিস।
এ প্রসঙ্গে আঁখি বলেন, বিলকিসের সাথে ফেসবুকে পরিচয় তারপর থেকে আমরা দু’জনে সম্পর্কে জড়িয়ে যাই। পরিবার, সমাজ না মেনে নিলে মেরে ফেলুক। আমরা বাঁচলে একসঙ্গে বাঁচব, মরলে একসঙ্গে মরব। বিলকিস এখানে এসেছে, আমি ওরে আর যেতে দিব না।
বিলকিস বলেন, আমি পরিবারকে বুঝিয়েছি তারা আমাদের সম্পর্ক মানবে না। তাই বাড়িতে থেকে নিরুপায় হয়ে পালিয়ে এসেছি। আমি আঁখিকে ভালোবাসি। আমরা ঢাকায় দেখা করেছি, চাকরি করে আমরা একসঙ্গে থাকছি। পরে পরিবারের লোকজন আমাদের বাড়িতে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা একে অপরকে ছাড়া বাঁচব না। আমরা একসঙ্গে থাকতে চাই। এখন আঁখির পরিবার না মানলে আমরা দু’জনে অন্য কোথাও গিয়ে বসবাস করবো।
বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। স্থানীয় ইউপি মেম্বারের সঙ্গে কথা হয়েছে। নোয়াখালীর মেয়েটির পরিবারকে তারা বিষয়টি জানিয়েছেন। মেয়েটির পরিবার এলে তাকে ফিরিয়ে দিতে বলেছি।’
এ বিষয়ে বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা পারভীন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে নোয়াখালী প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। মেয়েটির প্রকৃত অভিভাবকের খোঁজ পেলে তাদের হাতে মেয়েটিকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। পরিবারের খোঁজ না পাওয়া গেলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।’