বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন
শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুর-৩ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একান্ত সচিব মিয়া নুরুদ্দিন আহম্মেদ অপু বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড রায় দেয় আদালত। এ ঘটনায় শরীয়তপুরে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি। জেলার কেউ অশান্তি চায়নি, তাই জেলাটি শান্ত ছিল।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্র কমিটি গঠন উপলক্ষে সাজনপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুদ্দিন আহম্মেদ অপু বলেন, শরীয়তপুর আমার পরিবার। আমি এই পরিবারের একজন সন্তান। এই পরিবারের (শরীয়তপুরের) জন্য আমি কাজ করে যাব। বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে শরীয়তপুর- ঢাকা এবং শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়ক দুটির কাজ হবে ইনশাআল্লাহ। আর শরীয়তপুর নদী ভাঙন কবলিত। ভাঙন রোধে কাজ করা জরুরি। আমরা ভাঙন রোধে কাজ করব।
অপু বলেন, জেলাটি ঢাকার অনেক কাছের। ঢাকা থেকে এক ঘণ্টার পথ। কিন্তু ঢাকা থেকে গাজীপুর যেতে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা লাগে সেখানে ইন্ডাস্ট্রি এরিয়া হয়ে গেছে। ঢাকা থেকে দুই ঘণ্টা লাগে নারায়ণগঞ্জ ও মেঘনা যেতে সেখানে ইন্ডাস্ট্রি হয়ে গেছে। কিন্তু শরীয়তপুরে হওয়ার কথা ছিল তারও আগে, সেটা আমরা পাইনি। শরীয়তপুরে যা হওয়ার কথা ছিল, কি হয়েছে সবাই জানেন। তাই জেলাটিতে আধুনিক নৌ বন্দর, ইপিজেড, আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়, আধুনিক মেডিকেল কলেজ, বিজনেস হাব হওয়ার সুযোগ রয়েছে। আমরা এগুলো করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। আমাদের পরিকল্পনা আছে, যা বাস্তবায়ন করে দেখাব। জেলার যুব সমাজ এবং নারীদের স্বাবলম্বী করতে অনেক কর্মসূচি আমরা ইতোমধ্যে হাতে নিয়েছি। সেগুলো কার্যকর হলে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি ভালোবাসতে এসেছিলাম শরীয়তপুরকে। কিন্তু আমার বুক থেকে সেইদিন ভালোবাসা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। আমি দীর্ঘ বছর শরীয়তপুরে আসিনি। এখন জেলায় ঘুরে মানুষের ভালোবাসা দেখে মনে হচ্ছে আমি শরীয়তপুরেই ছিলাম। জেলার ভাই-বোন ও মায়েদের জিজ্ঞেস করি আপনারা আমাকে চিনেন! তারা বলেন আমাকে দেখেন এবং চিনেন। তার মানে হচ্ছে তারা সরাসরি আমাকে না দেখলেও, আমাকে নিয়ে চর্চা করেন। এটা আমার জন্য অনেক বড় নিয়ামত। এ সময় জেলা বিএনপির ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।