রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১১ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
সৈকতে পর্যটকের ঢল,হোটেল-মোটেলে ঠাঁই নেই চসিক মেয়রের সঙ্গে চট্টগ্রাম সাংবাদিক সংস্থার নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ চট্টগ্রামে সাংবাদিককে হত্যাচেষ্টা, ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা ছাত্র আন্দোলনে হামলা : লোহাগাড়ায় মামলার আসামি গ্রেফতার দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির অভিযানে ৭ ব্যারেল চোরাই ডিজেল তৈল সহ গ্রেপ্তার ২ পূর্বকোণ-পত্রিকার সহ-সম্পাদক ও শিক্ষার্থীর ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন চকরিয়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান’কে গ্রেপ্তার করেছে”র‌্যাব-১৫ ও র‌্যাব-৭ এর আভিযানিক দল চট্টগ্রাম-কক্সবাজার- মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য মৃত্যুর মিছিল”নিয়ন্ত্রণ হারিয়েএক’মোটরসাইকেল চালক নিহত চন্দনাইশে যাত্রীবাহী বাস থেকে দেশীয় তৈরি পাইপ গান উদ্ধার গ্রেপ্তার ২ চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ প্যানেল চেয়ারম্যান হাবিবের বিরুদ্ধে

সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেম করার ১১ সুবিধা

মোঃ সেলিম উদ্দিন খাঁন বিশেষ প্রতিনিধি:

যদি প্রশ্ন করা হয় তবে বেশিরভাগই উত্তর দেবেন, একজন সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেম করা সহজ নয়। এর বড় কারণ হলো তারা পরিশ্রম অনুযায়ী উপার্জন করতে পারে না, এমনকী তারা কাজের প্রতি অনেক বেশি নিবেদিত থাকে।

সবার ছুটি থাকলেও তাদের ছুটি মেলে কম। যে কারণে প্রিয়জন এবং পরিজনদের সময়ও দিতে পারে না। জেনেশুনে এমন মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর সাহস ক’জনেরই বা থাকে!এটি ঠিক যে একজন সাংবাদিকের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ানো সহজ কথা নয়।

তবে এটিও ঠিক যে, এটি ততটাও অলাভজনক নয়, যতটা মানুষেরা মনে করেন। সাংবাদিকের সঙ্গে জীবন জড়ালে আপনি অনেক ক্ষেত্রে লাভবান হবেন, অনেক বেশি অভিজ্ঞতায়ও সমৃদ্ধ হবেন। জেনে নিন একজন সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেম করার ইতিবাচক দিকগুলো-
তারা শহরের সবচেয়ে ভালো জায়গাগুলো জানে
অনেকে মনে করেন, সাংবাদিকেরা নিস্তেজ, অসামাজিক এবং আত্মপ্রেমেই মগ্ন থাকে।

তবে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। তারা শহরের সবচেয়ে আনন্দদায়ক পার্টিতে, সিনেমার প্রিমিয়ারে যেতে পারে; সেরা রেস্তোরাঁয় খাবার খেতে পারে। এমন মানুষের সঙ্গী হতে কে না চাইবে!
একজন সাংবাদিককে অবশ্যই সৃজনশীল হতে হয়। জ্ঞানপূর্ণ এবং আকর্ষক গল্পগুলো তারা পাঠকের সামনে উপস্থাপন করে যা কিনা নিউজরুমের সীমার বাইরেও প্রসারিত হয়। একজন সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেম করার অন্যতম সুবিধা হলো সে আপনাকে সবচেয়ে স্নিগ্ধ উপায়ে মুগ্ধ করতে পারবে। এমনকী তার দেওয়া কষ্ট কিংবা অবহেলাও হবে একইরকম সৃজনশীল!
অন্তহীন কথোপকথন-
সাংবাদিকরা বোকা এবং স্মার্টনেসের একটি নিখুঁত মিশ্রণ। বিশ্বের চারপাশে যা ঘটছে তার খোঁজ তারা স্বাভাবিকভাবেই রাখে। তাদের সঙ্গে কথোপকথন আকর্ষণীয়। কথা চালিয়ে গেলে তা আপনাকেও জ্ঞান বাড়াতে সাহায্য করবে, তাদের সঙ্গে কথা অবিরাম কথা বললেও আপনি বিরক্ত হবেন না। কারণ তারা যেকোনো বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে পারে।
টাকা তাদের কাছে মূখ্য নয়-
তাদের কাজের প্রতি অনুরাগই তাদের চালিত করে, অর্থ নয়। যদি এটি অর্থ তৈরির বিষয়ে হতো, তবে তারা এই পেশায় থাকতো না। তারা তাদের পরিশ্রমের হিসাবে ততটা উপার্জন নাও করতে পারে, তবে তারা সময়কে বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারে।
বিশ্বস্ত-বিশ্বাস হলো অন্যতম বৈশিষ্ট্য যা সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রেকর্ডের বাইরে রাখা থেকে শুরু করে তারা অনেক কিছুই নিরাপদ ও গোপন রাখতে জানে। নিশ্চিন্ত থাকুন, আপনি যদি একজন সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেম করেন তবে আপনার বিশ্বাস ভঙ্গ হবে না এবং আপনার গোপনীয়তা সব সময় নিরাপদ থাকবে।
অগণিত উত্স, সময়সীমা এবং ভীষণ চাপের পরিবেশে কাজ করা তাদের অন্যতম দক্ষতা। সাংবাদিকরা মাল্টিটাস্কিংয়ে বিশেষজ্ঞ। তারা তাদের কাজ এবং তাদের সম্পর্কের মধ্যে পুরোপুরি ভারসাম্য রাখতে পারে। তারা সারাদিনের পরিশ্রমের পরেও সঙ্গীকে ভালোবাসা এবং যত্ন দিতে পিছপা হয় না। সাংবাদিকদের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। তারা আপনাকে এক মিলিয়ন প্রশ্ন দিয়ে অতিষ্ঠ করবে না বা আপনি কীভাবে আপনার দিনের প্রতিটি মিনিট কাটিয়েছেন তা জানার দাবি করবে না। তারা আপনাকে স্পেস দেবে এবং বিনিময়ে একই আশা করবে।সাংবাদিক হওয়া সহজ নয়। এটি কঠোর পরিশ্রম এবং নিঃশর্ত অধ্যবসায় দ্বারা ভারাক্রান্ত একটি জীবন। পিআর- এর সঙ্গে কাজ করা থেকে শুরু করে খবরের উৎসের পেছনে দৌড়ানো, কোনোটিই সহজ নয়। তারা ঠিক জানে যে কোনোকিছু সঠিকভাবে পেতে এবং কার্যকর করতে কী লাগে; এবং তাদের ব্যক্তিগত জীবনের ক্ষেত্রেও একই আচরণ আশা করে সাংবাদিকদের সবসময় মজার মজার গল্প থাকে। তারাও কিন্তু দারুণ শ্রোতা, তারা সত্যিকার অর্থে আপনার প্রতি আগ্রহ দেখাবে। তারা আপনার করা সামান্য ইঙ্গিতও ধরে ফেলতে পারদর্শী। সাংবাদিকরা প্রয়োজনে অন্যকে সাহায্য করার জন্য নিজের সামর্থ্যের বাইরেও যায়। এক্ষেত্রে অপরিচিত কেউ হলেও কোনো ব্যাপার না। তারা তাদের প্রচেষ্টায় কোনো ঘাটতি রাখে না। এটা বলাই যায় যে, সাংবাদিকদের হৃদয় বড় হয়। আপনার প্রিয় খেলা, কনসার্ট বা একটি শিল্প ইভেন্টে যোগ দিতে চান? আপনার ইচ্ছা হলেই তাকে জানান। কয়েকটি ফোনকলের মাধ্যমে কয়েক মিনিটের মধ্যেই টিকিট পেয়ে যাবেন!

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com