রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২২ অপরাহ্ন
প্রেস রিলিজ:
অজ্ঞাতনামা ডাকাত দল কর্তৃক লুণ্ঠন করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালনা করে লুণ্ঠিত সকল গরু ও বাছুর উদ্ধার; আন্তঃজেলা ডাকাত দলের দুই সদস্য গ্রেফতার।
গত ২৪/১১/২৪ খ্রি. রাত ০২:০০টা থেকে ৪:৩০টার মধ্যবর্তী সময়ে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন ডাকাত পতেঙ্গা মডেল থানাধীন মাদ্রাসা গেইট ভিআইপি রোডস্থ জুলেখা ডেইরি ফার্মে প্রবেশ করে ফার্মের সিসি ক্যামেরা ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ফার্মে কর্মরত কর্মচারী দুইজনকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গামছা দিয়ে হাতমুখ বেঁধে ৯টি ফ্রিজিয়ান গরু এবং ০৫টি বাছুর (সর্বমোট মূল্য ৩০ লক্ষ টাকা) লুণ্ঠন করে দুইটি পিকআপ যোগে নিয়ে যায়। উক্ত ডাকাতির সংবাদ প্রাপ্তির সাথে সাথে বন্দর বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পতেঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান সঙ্গীয় অফিসারসহ লুণ্ঠিত গরু উদ্ধারের লক্ষ্যে অভিযান শুরু করেন। গুরুত্বপূর্ণ স্থানের সিসিটিভি পর্যালোচনা, বিশ্বস্ত সোর্স নিয়োগ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নোয়াখালী জেলার চরজব্বর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সেলিম (৩০)-কে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানা এলাকা থেকে ডাকাতির সাথে জড়িত মাইন উদ্দিন (২৩)-কে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেখানোমতে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানাধীন নলপানি গ্রামস্থ পলাতক ডাকাত সাদ্দামের বসতঘরের পাশে অবস্থিত গোয়ালঘর থেকে লুণ্ঠনকৃত ০২টি গরু উদ্ধারপূর্বক গত ২৬/১১/২৪ খ্রি. বিকাল ৪:৪৫ ঘটিকায় জব্দ করা হয় এবং বাকি ১২টি গরু চাঁদপুর জেলার উত্তর মতলব থানাধীন আমিরাবাদস্থ খবিরের গোয়ালঘরে আছে বলে জানায়। চট্টগ্রাম জেলার গোয়েন্দা শাখার একটি টিম খবিরের খামারে অভিযান পরিচালানা করলে লুণ্ঠিত বাকি ০৭টি গরু ও ০৫টি বাছুর উদ্ধার করে। মামলার বাদী গরুগুলোকে তার নিজের লুণ্ঠিত গরু বলে শনাক্ত করেন। গ্রেফতারকৃত ডাকাত সেলিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় খুন, ডাকাতি , দস্যুতা ও চুরির ১০টি মামলা রয়েছে। লুণ্ঠনের কাজে ব্যবহৃত পিকআপ ও ঘটনার সাথে জড়িত আন্তঃজেলার পলাতক ডাকাতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।