সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০২ অপরাহ্ন
প্রেস রিলিজ:
সিএমপির বায়েজিদ বোস্তামী থানা কর্তৃক মামলা রুজুর ০৮ ঘন্টার মধ্যে গৃহবধু শারমিন আক্তার (২৮) হত্যার প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার দুইজন
ভিকটিম শারমিন আক্তার (২৮) ১০ বছর পূর্বে আসামি মোঃ মকবুল প্র. মঙ্গল (৩৮)-এর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তারা বর্তমানে ২ পুত্র ও ১ কন্যাসন্তানের মা-বাবা। আসামি প্রায় সময় সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার স্ত্রীকে মারধরসহ মানসিক নির্যাতন করে আসছে। সর্বশেষ গত ০৬/১০/২৪ খ্রি. মাগরিবের নামাজের পরে স্বামীর অত্যচার সহ্য করতে না পেরে ভিকটিম তার স্বামীর বাসা থেকে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে ০৭ অক্টোবর সকাল আনুমানিক ১১.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিমের স্বামী আসামি মোঃ মকবুল প্র. মঙ্গল বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন মোহাম্মদনগর ৫ নং রোডস্থ মোহাম্মদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে পাকা রাস্তার উপর ভিকটিম শারমিন আক্তারকে পেয়ে তার সঙ্গীয় অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন আসামির সহযোগিতায় ভিকটিমকে এলোপাথাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকে। একপর্যায়ে ভিকটিমের পরিহিত ওড়না পেঁচিয়ে ভিকটিমকে টানাহেঁচড়া করে উক্ত আসামির মায়ের ভাড়াঘর তথা বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন শান্তিনগর ৫নং রোড ডাক্তার গুলশানআরা প্র. মিনুর ভাড়াঘরে নিয়ে যায়। সেখানে সন্ধ্যা আনুমানিক ০৭.০০টার সময় ভিকটিম শারমিন আক্তার মৃত্যু বরণ করেন।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা মোঃ সেলিমের লিখিত এজাহারের ভিত্তিতে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হত্যা মামলা রুজু হয়। মামলা রুজুর পর সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) জনাব মুহাম্মদ ফয়সাল আহম্মেদ মহোদয়ের দিক-নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) জনাব জাহাঙ্গীর আলম ও সহকারী পুলিশ কমিশনার জনাব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের তত্বাবধানে থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ আরিফুর রহমানের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই (নি.) জসীম উদ্দীন সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে আজ ০৮/১০/২৪ খ্রি. ভোর রাতে এবং সকাল বেলা বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন শান্তিনগর এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামি ভিকটিমের স্বামী মোঃ মকবুল প্রঃ মঙ্গল ও মামলার ঘটনায় জড়িত অপর আসামি শিউলি আক্তার (৩০)-কে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আটক করতে সক্ষম হয়। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার ঘটনায় জড়িত অন্য অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত আছে।