শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন
মোঃ সেলিম উদ্দিন খান (বিশেষ প্রতিনিধি)
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানিয়েছে, বাংলাদেশে ফসলের মাঠ থেকে ভোক্তার পেটে যেতে খাদ্যশস্যের ২৫ শতাংশই অপচয় হয়। যা পরিমাণে যা বছরে ১ কোটি ৬ লাখ টন।
অব্যবস্থাপনা আর অসচেতনতার কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। অপচয় রোধ করা গেলে তা দিয়ে ১ কোটি মানুষের ১ বছরের খাদ্যের জোগান দেয়া সম্ভব বলে মনে করেন তারা।
রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে মাঠে ফসল ফলান কৃষককেরা। বেশ কয়েকটি ধাপ পার হয়ে তা যায় ভোক্তার পেটে। এসময়ে ২৫ শতাংশই অখাদ্যে পরিণত হয়। এ দিয়ে পূরণ করা সম্ভব কোটি মানুষের চাহিদা।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার হিসাবে, ফসল সংগ্রহ, পরিবহন এবং ভোক্তা পর্যন্ত যেতে বার্ষিক নষ্ট হয় ১ কোটি ৬ লাখ টন। বিষয়টি নিয়ে পুষ্টিবিজ্ঞানী ড. মনিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, “অসচেতনতা ও অব্যবস্থাপনার কারণে এত খাদ্য অপচয় হয়। বাসাবাড়ি, অফিস, স্কুল কলেজে খাদ্যের একটা অংশ নষ্ট হয়। পরিবহনকালে অপচয় হয়। সুপারমার্কেট, কিচেন মার্কেটে নষ্ট হয়। প্রায় প্রত্যেক ধাপে খাদ্যের অপচয় ঘটে।”
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম গণমাধ্যমকে জানান,“অপচয় রোধে একটা বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা দরকার। শুধু শহরেই নয়, গ্রামেও বিপুল পরিমাণ খাবার অপচয় হয়। অবশ্য গ্রামাঞ্চলে নষ্ট খাদ্য গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি খেয়ে ফেলে। তবে শহরাঞ্চলের নষ্ট খাবার পুরোটাই চলে যায় ডাস্টবিনে। সেটা কোনো কাজেই লাগে না। কাজেই এক্ষেত্রে আমাদের খুব সচেতন হতে হবে।”