মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন
মোঃ নুর আজম রবিন
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে চাঁদাবাজির উদ্দেশ্যে নাশকতা, চুরি, হত্যার হুমকি ও শ্লীলতাহানীর মামলার অন্যতম প্রধান আসামি মোঃ আসফি (২৬)’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগানে নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব- ৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
গত ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ইং তারিখ রাত আনুমানকি ০২০০ ঘটিকায় ৮-১০ জন ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জতি হয়ে ভিকটিম মোঃ আল করিম এর বাড়িতে অতর্কিত হামলা এবং ককটলে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে। পরবর্তীত জোরপূর্বক ভুক্তভোগীর বাড়ীর গেইট ভেঙ্গে বসত ঘরে প্রবশে করে জিনিসপত্র ভাংচুর করত ভুক্তভোগীসহ তার পরিবারেরলোকজনদের বিভিন্ন রকম হুমকি দিয়ে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে। এসময় দুস্কৃতিকারীরা ভিকটিমের ঘরের আলমারি থেকে নগদ ৫ লক্ষ টাকা, মোবাইল ফোন এবং ৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার পথে দুস্কৃতিকারীরা পাশের আরো ৩-৪টি বাড়িতে একইভাবে ডাকাতি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটসহ বাড়রি আসবাবপত্র ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। দুস্কৃতিকারীরা ডাকাতির প্রাক্কালে একজন মেয়ের জোরর্পূবক শ্লীলতাহানী করে এবং তার গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন, কানের দুল ও হাতের বালা নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় পুনরায় হুমকি প্রদান করে যে, এলাকায় বসবাস করতে গেলে তাদেরকে চাঁদা দিতে হবে, চাঁদা না দিলে কেউ এখানে বসবাস করতে পারবে না।
উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগী ভিকটিম মোঃ আল করিম বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ থানায় গত ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ইং তারিখ ৭ জন নামীয় এবং ১০/১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন, যার নং ১৫/১৫, ধারা- ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৪৮০/৩৫৪/৩৮৫/৪২৭/০৫/৫০৬(২) পেনাল কোড ১৮৬০।
মামলা রুজু হওয়ার পর পরই র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বর্ণিত মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়ন্দো নজরদারি অব্যাহত রাখে। নজরদারির একপর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, উক্ত মামলার এজাহারনামীয় আসামি চন্দনাইশ থানাধীন হাছনদন্ডি এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ইং তারিখ রাত আনুমানিক ০৩৪০
ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি মোঃ আসিফ (২৬), পিতা-ইসমাইল, সাং-দক্ষিণ গাছবাড়িয়া, থানা-চন্দনাইশ, জেলা-চট্টগ্রাম’কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থতি সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামি উল্লেখিত নাম ঠিকানা প্রকাশ করতঃ উক্ত মামলার ৫নং এজাহারনামীয় আসামি মর্মে স্বীকার করেন। উল্লেখ্য, একই মামলার অন্যতম প্রধান আসামি মোহাম্মদ আলী’কে গত ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ইং তারিখ চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানাধীন বাংলাবাজার এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।