সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন
সমন্বিত কঠিন ও মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হবে মূলত ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (আইডিবি) অর্থায়নে। এ কাজে মোট ব্যয় হবে ৫৫৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে আইডিবি অর্থায়ন করবে ৪৭৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
দেশের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ শহরে সমন্বিত স্যানিটেশন ও হাইজিনের আওতায় আনা হবে। সমন্বিত কঠিন ও মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হবে মূলত ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (আইডিবি) অর্থায়নে।
এ কাজে মোট ব্যয় হবে ৫৫৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে আইডিবি অর্থায়ন করবে ৪৭৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। প্রকল্পটি ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পের অগ্রাধিকারভিত্তিক এলাকা ও শহর হলো- নরসিংদী, জামালপুর, শরীয়তপুর, কুমিল্লা, লক্ষীপুর, পাবনা, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বাগেরহাট ও পটুয়াখালী।এই ১০টি অগ্রাধিকারভিত্তিক শহরে সমন্বিত স্যানিটেশন ও হাইজিন (সমন্বিত কঠিন ও মানববর্জ্য) প্রকল্পের আওতায় আনতে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আজ (৮ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার ‘জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হবে।পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মো. মামুন-আল-রশীদ এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হলো স্যানিটেশন অবকাঠামো ও এর পরিষেবা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি স্যানিটেশনকর্মীদের পেশাগত সুরক্ষা, জনগণের সম্পৃক্ততা ও জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক ঝুঁকি নিরসন করা।
এর মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশগত দূষণ রোধ ও পানিবাহিত রোগের বিস্তার প্রতিহত করা যাবে। দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ, উদ্ভাবনী, অন্তর্ভুক্তিমূলক, জলবায়ু ও দুর্যোগ নিরোধক স্যানিটেশন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিষেবাগুলোর সার্বজনীন প্রবেশাধিকার নিশ্চত করা হবে।
এছাড়াও উদ্যোগী ব্যবসায়িক মডেল প্রস্তুতকরণ, লিঙ্গ বৈষম্যদূরীকরণ এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক সক্ষমতা বিকাশের মাধ্যমে অনানুষ্ঠানিক স্যানিটেশনকর্মীদের জীবন ও জীবিকার সুযোগকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করা হবে।
‘শহরব্যাপী সমন্বিত স্যানিটেশন কাঠামো এবং এর নির্দেশিকা বাস্তবায়নের মাধ্যমে পৌরসভার বিভিন্ন স্তরের জবাবদিহিতা শক্তিশালী করা হবে। প্রল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের ১০টি অগ্রাধিকারভিত্তিক শহরে সমন্বিত স্যানিটেশন ও হাইজিন কার্যক্রম ব্যবস্থার উন্নয়নসহ স্যানিটেশন কাভারেজ বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। দারিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষও প্রকল্পের সুফল পাবে।’
তিনি আরও বলেন, প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্যবিধি সাপেক্ষে সচেতনা বৃদ্ধি, বিটেড ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ১০টি শোধনাগার ও ব্যবস্থাপনা স্থাপনা নির্মাণ, পরিশোধন ও ব্যবস্থাপনা স্থাপনা নির্মাণ, ৬৩টি কমিউনিটি ল্যাট্রিন, রোড সুইপিং, ডিজেল জেনারেটর, এক্সকাভেটর, বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম, ফার্নিচার ক্রয়, ১০টি কঠিন বর্জ্য পরিশোধন ও ব্যবস্থাপনা স্থাপন, ৬৫টি ওয়াটার পয়েন্টে স্থাপনসহ ৩৮৭টি হস্তচালিত ঠেলাগাড়ি কেনা হবে।